ধারাবাহিক - পাখি
প্রকৃতি –প্রতি শনিবার ।
১৮তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
১৯তম পর্ব শুরু …………
সোনালী কাঠঠোকরা
(Black-rumped
flameback)
ঠাকুর, দুটো পোকা পাইয়ে দাও না! দুটো পিঁপড়ে পাইয়ে দাও….সকাল থেকে কিচ্ছুটি খাইনি কো। পেটে ছুঁচোয় ডন মারছে! থুড়ি,থুড়ি,আমাদের পেট তো
ছোট, ছুঁচো তো ঢুকতে পারবে না! তাহলে কি বলি!....ওহঃ,ঠাকুর তুমি তো অন্তর্যামী,মনের কথা ঠিক বুঝে নেবে!
ঠাকুর,আমাদের এখানে
খাবারের খুব অভাব। গাছ থেকে পোকা ধরে খেতুম, সে গাছও আজকাল কেটে জঙ্গল সাফ হয়ে
যাচ্ছে। যারা বড়লোক মানে বড় পাখি তারা ঠিক তাদের খাবার যোগাড় করে ফেলছে, আর আমরাই,এই ছোটলোকগুলো (ছোট পাখি)পেট মেরে পড়ে থাকছি। উপায় নেই
ঠাকুর! যেভাবে হোক দুটো খাবার জুটিয়ে দাও!
না,এই কথাগুলো আমার নয়। কথাগুলো এই সোনালী কাঠঠোকরাটার!তবে,সে ঠিক এই
কথাগুলোই বলেছে কিনা জানি না। কিন্তু আমার বাগানের সজনা
গাছের ডালে বসে এমন করে ঘন ঘন মাথা ঠুকছিল তাতে আমার মনে হয়েছে নিশ্চয়ই এই কথাগুলোই ও বলছিল! যেমন করে আমরা
মাথা ঠুকি ঠাকুরের কাছে কিছু চাওয়ার থাকলে সেইরকম আর কি। আর তারপরের ঘটনা
দেখে আমি নিশ্চিত যে এমন কিছুই বলছিল কাঠঠোকরাটা।
সকাল থেকে এগাছে
ওগাছে ঠকঠক ঠকাঠক ঠকাঠক করেই চলে। তারপর কখনও সখনো আমার বাগানের টগর ফুলের গাছে ঠোক্কর মেরে মেরে লাল পিঁপড়ে ধরে ধরে খায়। আমাকে দেখলে একদিকের ডানাটা একটু হেলিয়ে দিয়ে,ঘাড় বেঁকিয়ে এক আধবার তাকায় বটে। সে সময় মাঝেমধ্যে ঠোঁটে গুটিকয়েক লাল পিঁপড়ে ধরাও থাকে! সেদিন দেখি ওমা!বোধহয় ক্ষিধের জ্বালা না দৃষ্টি ক্ষিধে তা আমি জানি না বাপু,মাথা খুঁড়ছে তো খুঁড়ছেই!সেটা দেখেই আমার বেশ একটু মায়া লাগলো।
আমি প্রথমে অত কিছু
বুঝিনি! কাঠবিড়ালি,বুলবুলি, ঘুঘু,শালিক ততক্ষণে খেয়ে চলে গিয়েছে। ওকে অমন করে মাথা খুঁড়তে দেখে আবার এক মুঠো ভাত এনে ছুঁড়ে দিলাম রান্নাঘরের চালের
মাথায়। আমি জানতাম কাঠঠোকরা শুধু পোকা খায়, তবুও মনে হলো আহাঃ,বেচারার ক্ষিধে
পেয়েছে হয়তো! তা দেখাই যাক কি করে!পেটের জ্বালা বড়ো
জ্বালা!আমার ভাবনা সত্যি হবে ভাবিনি। হটাৎ,গাছের উপর থেকে ভাত দেখতে পেয়ে কাঠঠোকরাটা ছুটে নেমে এসে রান্নাঘরের চালে বসে গপাগপ ভাত খেতে লাগলো। আর তারপর থেকে প্রায় রোজই দুপুরে আসে ভাতের লোভে রান্নাঘরের
চালে। তবে খুবই ভীতু আর নিরীহ। সবাই খেয়ে চলে গেলে চারদিক দেখে তবেই সে আসে। কিন্তু সামান্য খস খস শব্দ শুনলেই ছুটে পালায়।
সকাল থেকে হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও এরা কেমন করে যেন আমার চোখে ধরা পড়ে যায়। আর আমি ভাষাহীনদের ভাষা নিজের মতো করে গড়ে নিই।
কিছুদিন আগের কথাই বলি…….
আমার বাগানে একটা টগর গাছ আছে
আর তার পাশেই একটা টিউবয়েল আছে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্যে। কেউ কল পাম্প করে জল নিয়ে চলে যাবার পর কখনও কখনও দেখা যায় একে একে অনেক পাখিই এসে পড়ে থাকা জলটুকুতে ঠোঁট
ডোবায়।
সেদিন দুপুরে একটা সোনালী কাঠঠোকরা
এসে গাছের উল্টোদিকে বসে বসে ঠক্ ঠক করতে করতে শুকনো কলটা দেখে যেন ওর তেষ্টা খানিক বেড়ে গিয়েছে। কাঠঠোকরাটা এসে কলের এপাশে ওপাশে,কলের হাতলে বসলো। কলের মুখে
ঠোঁট ঢুকিয়ে দিয়েও একটুও জল না পেয়ে উড়ে গিয়ে আবার আম গাছে বসলো। তারপর গাছের গায়ে ঘুরে ঘুরে উপরের দিকে উঠতে লাগলো। দুপুরে কলতলা শুকনো হয়ে থাকলে আমি গিয়ে কলটা খানিক পাম্প করে জল ছড়িয়ে দিয়ে আসি।
কত পাখি জল খেতে আসে। সেইসঙ্গে ধারে
কাছে চরে বেড়ানো গরু কুকুর ছাগলগুলো এসে জল খেয়ে যায়। কতবার কাককে দেখেছি কলের অবশিষ্ট জলের ফোঁটায় ঠোঁট বাড়িয়ে দিতে। এখন পঞ্চায়েত থেকে টাইম কলের জলও বাড়ির সামনে এসে গিয়েছে। যখন তখন দলে দলে হনুমান এখানে আসে যায়। একদিন দেখি
একটা হনুমান এসে টাইম কল খুলে জল খাচ্ছে!
গাছের গায়ে এই ধরনের ঠকঠকাঠক শব্দ শুনলেই চঞ্চল হয়ে ওঠে মন। চোখ খুঁজে বেড়ায় তাকে। আবার খানিক পরে ট্র্যরর… ট্র্যরর….ট্র্যরর….পড়ন্ত দুপুরে সেই
শব্দের আবার প্রতিধ্বনি হয় দূর
থেকে। শান্ত নির্জন পরিবেশ আচমকা যেই
মুখরিত হয়ে ওঠে,খান
খান হয়ে ভেঙে পড়ে
নির্জনতা। কৌতূহলী চোখ শব্দের উৎস খুঁজে
পেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
চতুর্দিক অনুসন্ধান করে যদি কখনও দর্শন
পাওয়া যায়,কিন্তু
ওই একপলকের একটু দেখা
হলেই
অন্তর্ধান ঘটে যায় তার। পরক্ষণেই জানতে বাকি থাকে না
যে এই শব্দটাই কাঠঠোকরা পাখির খাদ্যান্বেষণের এক গাছ
থেকে অন্য গাছে বিরামহীন ছুটে চলার।
ছবিটা দেখে প্রথমেই কেউ যেন একে লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া বলে বসো না! এরাই সোনালী কাঠঠোকরা। সেই কোন ছোটবেলা থেকে পড়ায়,ছড়ায়,গদ্যে,গল্পে কতভাবে এদের সঙ্গে আমাদের সকলের পরিচয় হয়েই আছে।
কাঠঠোকরার অসংখ্য প্রজাতি আছে। অঞ্চলভেদে রঙের তারতম্যও অনেক। সোনালী কাঠঠোকরা আর সবুজ কাঠঠোকরা আমাদের বাড়ির আশেপাশেই বসবাস করে। সাধারনতঃ আমরা কাঠঠোকরা বলতে সোনালি কাঠঠোকরা কেই চিনি। এদের পিঠের রঙ উজ্জ্বল সোনালী ও কালো রঙের
হয়। দেহতল সাদা ও তাতে কালো আঁশের মত দাগ থাকে। গলা ও থুতনি
কালো এবং তাতে অস্পষ্ট সাদা ডোরা দেখা যায়। পুরুষ কাঠঠোকরার মাথার চাঁদি লাল রঙের আর স্ত্রী-পাখির মাথার চাঁদি ধূসর। কোথাও বা কাঠঠোকরাকে কাঠকুড়ালি নামেও ডাকা হয়।
পাখি পরিচিতি:বাংলা নাম:সোনালী কাঠঠোকরা,কাঠকুড়ালি।
ইংরেজি নাম : Black-ramped flameback /Lesser Golden-backed
Woodpecker
বৈজ্ঞানিক নাম: (Dinopium Benghalense)
সবুজ কাঠঠোকরা…..
সবুজ কাঠঠোকরা সচরাচর দেখা যায় না। একদিন হঠাৎই তাকে পেয়ে গিয়েছিলাম একটা নারকেল গাছে। সেদিন আমি মাছরাঙার ছবি তুলছিলাম। হঠাৎই সবুজ
কাঠঠোকরার আগমন ঘটলো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতের রেডি ক্যামেরায়
ততক্ষণে দুটো ক্লিক হয়ে গিয়েছে। নারকেল গাছ বেয়ে সে দিব্যি উপরের দিকে
উঠছিল। ক্যামেরার খচ খচ শব্দ পেয়েই নিমেষে উড়ে চলে গেল,কিন্তু কোথায় গেলো তাকে দেখতে পাইনি।
সবুজ কাঠঠোকরা খুব দুর্লভ দর্শন আবাসিক পাখি। এদের পিঠ সবুজাভ, ডানার প্রান্ত পালক সাদা-কালোয় ঢেউ খেলানো। লেজের ওপরের দিক হালকা বাদামি
ডোরাসহ কালচে। লেজের নিম্নাংশ সাদাটে এবং কালচে জলপাই রঙের ছিটদাগ। গলা
ফিকে জলপাই-বাদামির ওপর সাদা ছিট দাগ। থুঁতনি সাদা। দেহের নিম্নাংশ হলদে-সবুজের
সঙ্গে হালকা হলুদ বর্ণের মিশ্রণ এবং পেটে জলপাই রঙের আঁশটে দাগ। কোমর অনুজ্জ্বল
হলুদ-সবুজ। ঠোঁটের কোনায় কালো দাগ। চোখ কালচে-লাল। পা ও পায়ের পাতা ধূসর-সবুজ। স্ত্রী ও পুরুষ পাখির চেহারায় সামান্য পার্থক্য
রয়েছে। পুরুষ পাখির কপাল ও চাঁদি উজ্জ্বল লাল। স্ত্রী পাখির কপাল ও চাঁদি কালো।
পাখি পরিচিতি : সবুজডোরা কাঠঠোকরা। এরা দাগী বুক কাঠকুড়ালি’ নামেও পরিচিত।
ইংরেজি নামঃ স্ট্রিক-ব্রেস্টেড উডপেকার
(Streak-breasted Woodpecker)
বৈজ্ঞানিক নামঃ
Picus viridanus.
কাঠঠোকরা এক বিচিত্র পাখি। সারাদিন ঠকঠক
ঠকঠক করে কাঠ ঠুকেই চলে। প্রতিদিন একটা কাঠঠোকরা আট থেকে বারো হাজার বার কাঠে ঠোক্কর দেয় আর গাছের ছালের খাঁজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অজস্র পোকামাকড়-পিঁপড়েদের ধরে ফেলে। কাঠঠোকারার প্রধান খাদ্য হলো পোকামাকড়, লার্ভা, নিম্প, পিঁপড়ে এবং পিঁপড়ের ডিম।
গাছের গায়ে গর্ত করে বাসাও তৈরি করে এরা। সেই বাসায় থাকে এদের ডিম। আর ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর পর প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন সেখানেই থাকে ছোট্ট কাঠঠোকরারা।
কিন্তু,কাঠ ঠোকরাতে গিয়ে কাঠের গুঁড়ো এদের চোখে কিংবা নাকের ভেতর ঢুকে যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,কাঠ ঠোকরানোর সময় এদের চোখের সামনে খুব অল্প সময়ের জন্য ছোট একটা পর্দা চলে আসে আর নাকের ফুটোর কাছে কিছু পালক থাকে বলে কাঠের গুঁড়ো এদের চোখে-নাকে ঢোকে না। পায়ের আঙুলও এমন বিশেষ ধরনের যে কাঠ ঠোকরাতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
কাঠঠোকরা কাঠ কেন ঠোকে জানতে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের লেখা থেকে অবাক করা বেশ কিছু বিষয় জেনেছি। কাঠঠোকরা পাখি বোবা। ওর গলা দিয়ে কোনও শব্দ বেরোয় না তাই
সে কাঠ ঠোকে! নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদানের জন্যে প্রকৃতিতে সকল প্রাণীই গলা দিয়ে কিছু না কিছু শব্দ বার করে। কাঠঠোকরা সেটাও পারে না। আর সেটা না পারার প্রধান কারণ হলো এদের
জিভ।
কাঠঠোকরা বলতেই আমাদের মনে সরু এবং লম্বা
ঠোটের একটি পাখির ছবি ফুটে ওঠে। কাঠঠোকরার জিভ তার ঠোঁটের চেয়েও দ্বিগুণের বেশি বড়। সাধারনতঃ মানুষসহ সকল প্রাণীর জিভ তার গলার ভেতর থেকে বাইরের দিকে আসে তাই তারা
গলা দিয়ে শব্দ করতে বা ডাকতে পারে। কাঠঠোকরাদের গলা দিয়ে কোন শব্দ উচ্চারিত হয় না। এরা ঠোট দিয়ে আঘাত করে শব্দ তৈরি করে। কাঠঠোকরার
জিভ ঠোঁটের গোড়া থেকে শুরু হয়ে মাথার পিছন দিক পর্যন্ত গিয়ে মস্তিষ্কের চারপাশে আবৃত
থাকে। তারফলে ঠোঁট দিয়ে শত আঘাত করলেও মস্তিষ্কের কোনও ক্ষতি
হয় না।।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে কাঠঠোকরার জিভে খুব আঠালো এক ধরনের পদার্থ থাকে। তার ফলে গর্তের ভিতরে কোন পোকামাকড় পেলে তারা জিভের আঠা দিয়ে সেই পোকাকে আটকে মুখে নিয়ে আসে।
উজ্জ্বল লাল মুকুটে ভারী সুন্দর দেখতে লাগে কাঠঠোকরাকে। অনেকদূর থেকে এরা সকলের নজর কাড়ে। আবার নিজেদের বানানো বাসা নিজেদের পছন্দ
না হলে,তারা সেখানে থাকে
না বা ডিম পাড়ে না। গর্ত ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যায়। আর তাদের পরিত্যক্ত গর্তেই শালিক,টিয়াসহ অন্য পাখিরা বাসা বানায়।
কাঠঠোকরার
ঠোঁটের গঠন এবং তার শক্তি যে কোনও শক্ত গাছে গর্ত করতে সক্ষম। তবুও
এরা মৃত গাছ বেশি পছন্দ করে। কেননা মৃত গাছের কাঠ নরম হয় বলে গর্ত
করতে সুবিধা হয়। কাঠে পচনকারী বিভিন্ন পোকার লার্ভা
পাওয়া পাওয়া যায়। ফলে কম পরিশ্রমে বেশি খাবার পাওয়ার জন্যেই মৃত গাছে গর্ত করে। কাঠ ঠুকে ঠুকে গাছের ছালের ভেতর থেকে পোকা বার করে খাওয়া ছাড়াও
শুধু কাঠ ঠুকে ঠুকেই কাঠঠোকরা তাদের ভালোবাসা,সঙ্গী-নির্বাচন,বাসা বানানো ইত্যাদি সকল প্রকার আবেগের প্রকাশ ঘটায়।
কোনও কিছু ভালো লাগলে বা আমাদের আনন্দ
হলে আমরা গান গাই,অন্য পাখিরা শীষ দেয় অথবা ডাকাডাকি করে। আমরা
যোগাযোগ করার জন্যে ভাষার ব্যবহার করি অন্য পাখিরা শব্দ তৈরি করে। কিন্তু
কাঠঠোকরা সেটা পারে না। তবুও নিজের উপস্থিতি জানান দিতে,সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে,খাদ্যের সন্ধান করতে প্রতিনিয়ত তাকে কাঠ ঠুকতে হয়।
কাঠঠোকরা খুব উপকারী পাখি। গাছের
যেখানে পচা বা ভাঙা অংশ থাকে সেখানে বিষাক্ত পোকারা বাসা বেঁধে বংশবিস্তার করে রাখে। কাঠঠোকরা
গাছের সেই অংশ চিহ্নিত করে ক্ষতিকর পোকাগুলিকে খেয়ে ফেলে। কাঠঠোকরাকে
“গাছেদের চিকিৎসক”বলা হয়।
গাছ বাঁচলে পরিবেশ বাঁচে। পরিবেশ
বাঁচলে প্রাণীজগৎ বেঁচে থাকবে। কতরকমের পাখি কতরকম ভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করে
চলেছে। ওদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। পারস্পরিক
সহযোগিতায় বেঁচে থাকুক প্রাণীকুল-পক্ষীকুল।
ক্রমশ ………
২০তম পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার ।
বিঃদ্রঃ – সব ছবি এবং ভি ডি ও লেখিকার নিজের তোলা ।
লেখিকার জীবনের সঙ্গে গল্প অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে আছে। যা দেখেন, যা শোনেন, যা শোনেন, যা কিছু স্মৃতির পাতায় জড়িয়ে আছে মনের সাথে,তাই নিয়ে লিখতেই বেশি পছন্দ করেন।
লেখা শুরু স্কুল-ম্যাগাজিন, কলেজ -ম্যাগাজিন দিয়ে। বর্তমানে কিছু লেখা প্রকাশিত হচ্ছে কয়েকটি মাসিক-ত্রৈমাসিক পত্রিকায়। বর্তমানে বার্ড’স ফটোগ্রাফী এবং “পাখি-প্রকৃতি” নিয়ে লেখা শুরু করেছেন।