Advt

Advt

pakhi-prakriti-part-17-coucals-greater-coucals-centropus-sinensis-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

ধারাবাহিক – প্রতি শনিবার

pakhi-prakriti-part-17-coucals-greater-coucals-centropus-sinensis-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী


 ১৬তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

১৭তম পর্ব শুরু ……

 

ুবো (Coucals)

একে Crow Pheasant ও

বলা হয় ।

 সাধারনতঃ পাখিবলতেই মনে আসে যারা হালকা পালকের শরীর আর  পাখনাদুটো মেলে দিয়ে আকাশে উড়ে চলে বা আকাশে উড়তে পারা পাখিগুলোকে বলা হয় খেচর

কিন্তু সব পাখিই যে উড়তে পছন্দ করে বা ভালো উড়তে পারে,তা কিন্তু নয় কিছু পাখি আছে যারা তৃণভূমি,মাঠ প্রান্তর অথবা জলাশয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়ায় প্রয়োজনে উড়তে হলেও বেশিদূর বা বেশিক্ষণ উড়তে পারে না এরা ভূচর,বৃক্ষচর এবং জলচর


যদিও ভূচর পাখি হিসেবে প্রথমেই
কুবোপাখির নাম করা যেতে পারে তবে বেশ কয়েক প্রকার কোকিল আছে যারা ভূচর  

ডাকে কুবো কুব কুব লুকায়ে কোথায়. অক্ষয় কুমার বড়ালের কবিতার এই একটা লাইন দিয়েই কুবো’-র সঙ্গে সকলের পরিচয়  

 কুবো পাখি ভূচর ওরা আমার বাড়ির বাগানে রোজ দুপুরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ায় আর কোনও বিপদের সম্ভাবনা  দেখলেই আমগাছে উঠে পড়ে

 দুপুরবেলাটা চারপাশের পরিবেশ প্রায় নিঃস্তব্ধ থাকে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরেও বেরোয় না সেদিন দুপুরে দেখি একটা কুবো মাথা নিচু করে  বাগানে হেঁটে হেঁটে লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে চলেছে।  

 আমার বাগানের সামনে যার বাড়ি তার বেশ খানিকটা জায়গা ঝোপ জঙ্গলে ঢাকাতার চারপাশে বেড়া দেওয়া আছে আমার পায়ের শব্দ পেয়েই কুবোটা ছুটে গিয়ে ওই বাগানের ঝোপের ভেতর ঢুকে পড়লোআমি মজা করে বললাম সেকি রে! আমায় দেখে অমন করে ঝোপের মধ্যে থেকে উঁকি দিচ্ছিস কেন! ঝোপের ভেতর থেকে ওর চোখটা আমি দেখতে পাচ্ছি ওরা কিন্তু কেউ আমায় দেখে পালিয়ে যায় না সবজির খোলা,ডিমের খোলা,খাওয়ার উচ্ছিষ্ট এসবই আমি বাগানের কোণে ফেলে দিই ওদের যার যেটা পছন্দ,পালা করে এসে সেটা খেয়ে যায়

কোকিল কুবো এরা ডিমের খোলা খেতে আসে আমি কুবোটাকে আবার বললাম.

 "মুখখানা তোল দেখিরে,লজ্জ্বা কি তোর এ কি রে"!


আমার কথা শুনে হাসছে বলে মনে হচ্ছে।

আমার বলা কথাগুলো মনে হয় ঝোপের আড়াল থেকে সে শুনতে পেয়েছে! হঠাৎ ঝোপ-ঝাড় ছেড়ে নিষ্প্রাণ টিউবওয়েলটার সামনে,পাইপ লাইনের পাশে পাঁচিলের দুটো পাইপের মাঝখানে এসে বসলো পাখিটা। আর বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে।

  আমি বললাম "বাঃ বাঃ,তোদের দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর"! প্রশংসা শুনে তার ঠোঁটের কোণে একটু হালকা হাসি দেখতে পেলাম বলে মনে হলো যদিও হাসিটা আমি ছাড়া তেমন কেউই বুঝতে পারবে বলে মনে হয় না

 যদিও জানি আমার এত কথা শুনতে কারোরই ভালো লাগে না কিন্তু ওই একা একা নিজের মনেই পাখিদের সঙ্গে বকবক করতে করতে স্বভাবটাই বকবকিয়ে হয়ে গিয়েছে কথা বলতে বসলে শেষ হয় না আর এক কথা বলতে গিয়ে অন্য কথা বলে ফেলি

 যাইহোক,আবার কুবোর কথায় ফিরে আসিআমাদের দেশে দু-রকমের কুবো পাখি দেখা যায় একটা হলো বড়ো কুবো ( Grater Coucal) আর অন্যটা ছোট বা বাংলা কুবো (Lesser Coucal) বাংলা কুবো খুব বিরল প্রজাতির,খুব বেশি দেখা যায় না

 কুবো কুকুলিডি গোত্রের অর্থাৎ কোকিল প্রজাতির মধ্যে যে ৩০ ধরনের পাখি আছে তারই অন্তর্ভুক্ত এরা আকারে কোকিলের থেকে একটু বড়ো বড়ো কুবো দেখতে  কিছুটা দাঁড়কাকের মতো পেটের নীচ অর্থাৎ দেহতল উজ্জ্বল কালো রঙের গলাটা হালকা বেগুনি বা কালচে-নীলাভ কাঁধের উপরাংশ উজ্জ্বল তামাটে রঙের ছোট্ট ছোট্ট পালকে ঢাকা এছাড়া সমস্ত দেহটাই কালো লেজের পালক কালো এবং স্তরে স্তরে বিন্যস্ত চোখের রঙ টকটকে লালঠোঁট,পা,পায়ের পাতা,নখ ছাইরঙা কালোস্ত্রী-পুরুষ একই রকমের দেখতে। তবে স্ত্রী পাখি আকারে একটু বড়। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির রঙ কালচে বাদামী। আর তাদের দেহের নীচে ও লেজের দিকে সাদা দাগ থাকে।



  এরা ফল, শুঁয়োপোকা, ছোট-বড় কীটপতঙ্গ, কেঁচো, ছোট ইঁদুর, টিকিটিকি,ডিমের খোলা ইত্যাদি খায় এছাড়া,পাখির ডিম এদের খুব পছন্দের খাবার

 বাড়ির আশে পাশের ঝোপ-জঙ্গল,বাদা-জমি থেকে শুরু করে শহরের বাড়ির বাগানেও এদের দেখা মেলে এরা ভূচর তাই ওড়ার থেকেও বিচরণ করতে বেশি স্বচ্ছন্দএরা কুকুলিফর্মিস বর্গের অন্তর্ভুক্ত কোকিলের জাতভাই হলেও ওরা কিন্তু অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে না এরা নিজেরাই বাসা তৈরি করতে পারে এবং সেখানেই ডিম পাড়ে

 যে সমস্ত বড়ো গাছের ডালে অন্য পাখিরা বাসা তৈরি করে ডিম পাড়লে,  দুষ্টু বুদ্ধি কুবো দূর থেকে সেটা লক্ষ্য রাখে ছোট পাখিদের বাসার সন্ধান পেলেই গাছের ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে বাসা তছনছ করে দেয় পায়ের শক্ত নখ আর তীক্ষ্ণ ঠোঁট দিয়ে বাসা ছিঁড়ে ডিম-বাচ্চা সব খেয়ে নেয় এমনকি যে সব পাখি গাছের কোটরে ডিম পাড়ে,কুবো তার লম্বা পা কোটরের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে সে সব বার করে আনে অনেক সময় বাসার ধারে কাছে কুবোকে চরে বেড়াতে দেখলে বাবা অথবা মা পাখি বাচ্চাকে পাহারা দেয় অন্যজন খাবার সংগ্রহ করতে যায়

  এরা ফলমূল, শুঁয়োপোকা, বড় কীটপতঙ্গ, কেঁচো, ছোট ইঁদুর, টিকিটিকি,ডিমের খোলা ইত্যাদি খায় এছাড়া,পাখির ডিম এদের খুব পছন্দের খাবারএরা সর্বভূক ঝোপঝাড় ও গাছপালাযুক্ত ফাঁকা জায়গায় থাকতে এরা পছন্দ করে। বেশীরভাগ সময় মাটিতে হেঁটে বা ঝোপঝাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে খাবার খুঁজে বেড়ায়। এরা পাখি হলেও কিন্তু অন্য পাখির মতো উঁচুতে বা অনেকটা দূর পর্যন্ত উড়তে পারে না। দু-তিন হাত উড়েই বসে পড়ে। আর লুকিয়ে লুকিয়ে গম্ভীর "কুব-কুব-কুব" শব্দ করে ডাকে। কখনও আবার বাঁশঝাড়ে বসে থাকে চুপ করে নিজেকে সবার থেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করে

 এরা খাবারের সন্ধানে প্রচুর সময় ব্যয় করে খাবার খাওয়া হয়ে গেলে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়,আর তখনই উড়ে চলে যায় একটানা অনেকদূ ওকে কোনওদিন উড়তে দেখিনিখুব বেশি হলে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় দশ হাত দুরত্বে ওরা ওড়েতবে বড়ো কুবো (Greater Coucal) মাটির উপর দিয়ে খুব জোরে দৌড়তে পারে

বাংলা কুবো (Lesser Coucal) দেখিনি তবে শুনেছি এরা বাঁশঝাড়েতেই থাকে কিছুক্ষণ পরপর খাবারের সন্ধানে যখন এক গাছ থেকে অন্য গাছে যায় বা ঝোপের ভেতর ভেতর খাবার খোঁজে, তখন এক ঝলক দেখা যায় নিজেকে লুকিয়ে রাখতে যারা পছন্দ করে,বাংলা কুবো তাদেরই একজন

 কুবো পাখিকে একা একা ঘুরতে দেখলেও এদের জোড়াতেও ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়ঘাস-ঝোপ অথবা বুনো ঝোপজঙ্গল সরিয়ে তার তলায় তলায় যখন খাবার খুঁজে বেড়ায় তখন ওর লম্বা লেজটা মাটি ছুঁয়ে থাকে বিপদের আশঙ্কা দেখলেই ঝোপের ভেতর লুকিয়ে পড়ে কখনও কম দূরত্বে উড়ে গিয়ে বাঁশবনে লুকোয় কখনও বা পরিত্যক্ত বাড়ির ভাঙা পাঁচিলের মধ্যে গিয়ে ঢুকে পড়ে গরমের দিনে বহুদূর থেকে কুবোর ডাক শোনা যায়একটানা ছসাত বার কুব কুব কুব ডাকতে ডাকতে হঠাৎ ডাকটা থেমে যায়রাতে গাছেই থাকে



প্রজনন ঋতুতে পুরুষ কুবো,স্ত্রী কুবোকে তাড়া করে বেড়ায় ঝোপের আড়ালে আড়ালে বিভিন্ন ধরনের খাবার এনে স্ত্রী কুবো’-র সামনে ধরে সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী কুবো খাবার গ্রহণ করে এবং তার লম্বা লেজ ও ডানা নামিয়ে দিয়ে ঘর বাঁধার সম্মতি জানায়

শুকনো বাঁশপাতা,খড়কুটো,গাছের কচি ডালপালা দিয়ে জঙ্গল-ঝোপের আগায় অথবা বড়ো গাছের ডালে যেমন তেমন করে বেশ বড়ো আকারের অগোছালো একটা বাসা তৈরি করে বাসার মাঝখানে ওল্টানো বাটির মতো একটা খাপ থাকে তার মধ্যে স্ত্রী পাখি ডিম পাড়েদুজনেই ডিমে তা দেয় ডিম ফুটতে ১৫-১৬দিন সময় লাগে দু-তিন দিনের মধ্যেই ছানাগুলো উড়তে শিখে যায়

 কথায় বলে বাবারও বাবা থাকে কথাটা এখানে তটা প্রযোজ্য কিনা জানি না তবুও বলছি,কুবো পাখি অন্য পাখিদের ডিম খেয়ে নেয়,তাই সে ছোট পাখিদের শত্রু আর কুবো পাখির শত্রু হলো দাঁড়কাক কুবো পাখির বাসার সন্ধান পেলেই দাঁড়কাক কদিন ধরেই ওর বাসার আগে পাশে ওঁৎ পেতে বসে থাকে তারপর সুযোগ বুঝে বাসায় হানা দিয়ে যত গুলো পারে ডিম খেয়ে পালিয়ে যায়



পাখি পরিচিতি : বড়ো কুবো পাখি 

ইংরেজি নাম : Greater Coucals.

বৈজ্ঞানিক নাম : সেন্ট্রপাস সিনেন্সিস (Centropus Sinensis) অঞ্চলভেদে এদের কানা কুবো,কানাকুয়া,কুক্কাল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়

 আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তা আর রাস্তার পরেই হাইড্রেন ড্রেনের পরেই বিশাল উঁচু উঁচু জংলাঝোপ,তারপরেই মাঠ সেই মাঠের আকার!!!..তা প্রায় বেশ কয়েকটা মহাসভা হতে পারে একসঙ্গে আবার প্রায় গোটা কুড়ি-তিরিশ ফুটবল, ক্রিকেট টিম খেলতে পারে একসঙ্গে! তা সেই মাঠ আর ড্রেনের মাঝখানের জঙ্গল ঝোপের উপরে বা মাঝখানে প্রায়ই কোনও না কোনও পাখির বাসা দেখতে পাই সবচেয়ে অগোছালো বাসাটা দেখেই বুঝতে পারি এটা হয় কাকের নয়তো কুবো পাখির

 আজ লেখার শুরু থেকেই যে কথাটা বলিনি সেটা বলছি কুবো দেখে দেখে ওর ব্যাপারে কিছু কিছু জানলেও বেশিকিছু জানতাম না তবে আজ কিছুটা বাধ্য হয়েই জানলাম তার জন্যে খুব কষে পড়াশুনা করতে হলো পড়াশুনা না করলেও উপায় ছিল না হয় বেতের বাড়ি খেতাম নয়তো বাইরে বের করে দিতো জানি,এমন নীরস লেখা তোমাদের ভালো লাগবে না এর জন্যে আমাদের রমাদিদিমণি দায়ী

 ঠিক আছে ব্যাপারটা তাহলে একটু খুলেই বলি প্রাসঙ্গিক না হলেও লেখাটা শেষ অবধি পড়তে অনুরোধ করবো

 সকাল থেকে সংসারের কাজ করতে করতেই আমার ঘড়িতে চোদ্দটা বেজে যায় তার মধ্যে যদি এক আধটা পাখি এসে যায় আর আমি তাদের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যাই,তাহলে তো সারাদিন পরে ঘড়ির কাঁটাটা ঘন্টার ঘরের সাড়ে ১৬টায় (4:30pm)গিয়ে দাঁড়ায় তখন ঘরে গিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে ফোনটা নিয়ে রোজই এটা-ওটা-সেটা করে একটু নাড়া ঘাঁটা করি

 আজ শিক্ষক দিবস সকাল থেকে কত কত ছাত্র-ছাত্রী কত্তামশাইকে ফোন করে শিক্ষক-দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেবিকেলে আবার বছরকুড়ি আগের মাধ্যমিক ব্যাচের একদল ছাত্রছাত্রী আসবে দূর-দূরান্ত থেকে তাদের প্রিয় স্যারকে শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানাতেএখন তারা সবাই ঘোর সংসারী এবং প্রতিষ্ঠিত বসে ভাবছি,এতগুলো বছর কিভাবে যেন কেটে গেল!

 খানিকবাদে দেখি রমাদিদিমণি আমার বাড়িতে এসেছেন! যারা আমার স্কুলে পড়েছে তারা সবাই রমাদিদিমণিকে চেনে উনি জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন যেমন হাসি খুশি,তেমনই কড়া জোর করে ধরে সকলকে পড়িয়ে নিতেন আর খুব কষে লিখতে দিতেন ওনাকে দেখলেই সকলের পড়া তৈরি হয়ে যেতোখুব গুছিয়ে সুন্দর করে পড়াতেন এবং লেখাতেন

 আমি বললাম দিদিমণি আপনি!

হটাৎ মনে হলো যেন আমার মাথার চুলে দুটো কলা বিনুনি বাঁধা! পরনে স্কার্ট-ব্লাউজ আর রমা দিদিমণি আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন বলতো পাখি কাদের বলে?খেঁচর ভুচর জলচর পাখিদের পার্থক্য কি?সব পাখির দুটো করে উদাহরণ বল ভূচর পাখি সম্মন্ধে যা জানো লেখো

 মনে পড়লো,পড়া না পারলে বাইরে বার করে দিতেন নয়তো,হাতের চেটোয় এক ঘা বেতের বাড়ি দিয়ে ক্লাসে বসিয়ে পড়া তৈরি করিয়ে তবে তিনি ছাড়তেনকিন্তু এতদিন পর এখন এই অবস্থায় কি করি, কোনও উপায় নেই তাই পাখির বই থেকে মুখস্ত করে কুবো পাখি নিয়ে লিখে দিলাম সরস হলো না কিন্তু রমা দিদিমণি বেশ খুশি হলেনভাবলাম লেখা শেষ করে দিদিমণিকে একটা প্রণাম করবো মাথা সোজা করে তুলে দেখি দিদিমণি নেই! আওয়াজ পেলাম কত্তা মশাইয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা একে একে আসতে শুরু করেছে আমি হাত জোড় করে সকল শিক্ষকদের প্রণাম জানালামআমাদের শিক্ষকরা হারিয়ে যান না চেতনায় মনে তাঁরা দীর্ঘজীবী থাকেন 

সমাপ্ত

 

ক্রমশ………

১৮তম পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার

 লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন । 

বিঃদ্রঃ – সব ছবি এবং ভি ডি ও লেখিকার নিজের তোলা । 


লেখিকার পরিচিতি –

লেখিকার জীবনের সঙ্গে গল্প অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। যা দেখেন, যা শোনেন, যা শোনেন, যা কিছু স্মৃতির পাতায় জড়িয়ে আছে মনের সাথে,তাই নিয়ে লিখতেই বেশি পছন্দ করেন

লেখা শুরু স্কুল-ম্যাগাজি, কলেজ -ম্যাগাজিন দিয়ে বর্তমানে কিছু লেখা প্রকাশিত হচ্ছে কয়েকটি মাসিক-ত্রৈমাসিক পত্রিকায় বর্তমানে বার্ড’স ফটোগ্রাফী এবং পাখি-প্রকৃতি” নিয়ে লেখা শুরু করেছেন