Advt

Advt

pakhi-prakriti-part-12-kasai-pakhi-shrike-butcher-bird-jana-ajana-feature-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

ধারাবাহিকপ্রতি শনিবার


 

১১তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

১২তম পর্ব শুরু ……

 

কসাইপাখির শিকার কাহিনী

 (Shrike Butcher bird)


বাদামী কসাই বা কাজল পাখি

(Brown Strike)

লেখিকার বাড়ির সামনে ঝোপে বসে লেখিকার দিকে তাকিয়ে আছে ।

পাখির নাম কসাই! সবুর করুন,বলছি মশাই!চমক লাগলো নামটা শুনে!  জাতি,ধর্ম,বর্ণ,গুণে,বলবো সবই নিয়ম মেনে!জানতে গেলে পড়তে হবে  শুরু করছি গল্প তবে.

 ‘কসাই(Butcher) বলতে আমরা বুঝি,যে পশু হত্যা করে,তার মাংস বিক্রি করে অথবা  ঝুলিয়ে রাখে বিক্রির জন্যে অর্থাৎ অতিশয় নির্মম ও নিষ্ঠুর’(যদিও কসাইয়ের হত্যা করা প্রাণীর মাংসটা আমরাই ভক্ষণ করি)বোঝাতে কসাই শব্দটা ব্যবহার করি আবার আঞ্চলিক ভাষায় এদের শ্রাইক (Shrike) বলা হয়শ্রাইক (shrike) হলো শক্ত এবং বাঁকানো ঠোঁট বা চঞ্চুযুক্ত ছোট পাখি,যারা শিকার ধরে এনে কাঁটাগাছে বিদ্ধ করে রাখে


  প্রথম যখন পাখিটাকে দেখেছিলাম তখন নামটা শুনে খারাপ লাগছিল এই ভেবে,যে এমন সুন্দর একটা পাখির নাম কিনা কসাই’!খুঁজে খুঁজে আর নাম পেলো না গো!কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে এর বিভিন্ন আচরণ দেখে দেখে বুঝলাম খুব বিচক্ষণতার সঙ্গেই ওর এমন নামটা রাখা হয়েছে

ল্যাটিন শব্দ ল্যানিয়াস (Lanius) এর  মানে হলো কসাই এদের অদ্ভুত শিকার ধরার প্রবণতা এবং পদ্ধতির জন্যেই এই পাখির নামকরণ হয়েছে কসাই (Shrike) যেমন করে কসাইয়ের দোকানে কাটা মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয় ঠিক তেমন করেই এরা শিকার ধরে এনে কাঁটাযুক্ত ঝোপের ডালে ঝুলিয়ে রাখে

বছর তিনেক আগের কথা তখন করোনামহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে আমরা সকলেই গৃহবন্দীপ্রতিনিয়ত জীবন-মৃত্যুর লড়াই চলছে চতুর্দিকে শোকস্তব্ধ আবহপ্রতিবেশীর সঙ্গে বাক্যালাপেও যদি করোনা ঘরে ঢুকে পড়ে,সেই ভয়ে সকলে শিহরিত প্রিয়জনের মৃত্যুর খবরে বেসামাল মন প্রতি মুহূর্তে শঙ্কিত আমরা  তবুও জীবন তো থেমে থাকার নয়! চলছিল সব কিছুই নিয়মমতো ঠিক এই সময়েই কসাই পাখিটাকে দেখেছিলাম করোনা’-তে মনুষ্য সমাজ গৃহবন্দি ছিল,তাই বিশ্বপ্রকৃতি কিছুদিনের জন্যে দূষণমুক্ত হয়ে উঠেছিল পাখিরাও মনের আনন্দে তার বুকে খেলা করে বেড়িয়েছে

 ওই করোনা কালে,দিন ধরেই আমার বাড়ির সামনের কাঁটা ঝোপের মধ্যে একে দেখেছিলাম চুপ করে একা অনেক্ষণ ধরে বসে থাকেমাঝে মধ্যে কোথাও উধাও হয়ে গিয়ে আবার ফিরে এসে ওই একই জায়গায় বসে থাকছে আমিও কদিন খুব উৎসাহ নিয়ে পাখিটাকে নিরীক্ষণ করতে লাগলাম সকাল সন্ধে সুযোগ পেলেই ওকে ক্যামেরার লেন্সে ধরছি আমার বাড়ির গেট থেকে বিশ মিটারের দূরত্বে কাঁটা ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে পাখিটা বসে থাকছে ওর চোখদুটো ভারী সুন্দর!



একই জায়গায় একই ভঙ্গিতে বসে থাকতে দেখে মায়া লাগলো প্রথম দুদিন ভাবলাম আহারে! ওর বুঝি কেউ নেই তারপর, আরও দুদিন পর পাখিটার রকমসকম দেখে ভুল ভাঙলোএকদিন বেলার দিকে দেখি ঠোঁটে করে একটা টিকটিকি ধরে এনে কাঁটা গাছের মাথার উপর সমানে আছাড় দিচ্ছে! বেশ কৌতূহল জাগলো পাখিটাকে নিয়ে খুব সূক্ষ্মভাবে নিরীক্ষণ করতে শুরু করলাম  সেই থেকে কতবার দেখেছি ওকে! নাম জানলাম কাজল পাখি,ব্রাউন শ্রাইক (Brown Shrike) নামটা ভারি সুন্দর দেখে মনে হয় যেন চোখে কাজল পড়েছে

 এরা প্রধানতঃ পরিযায়ী পাখি শীতের সময় এরা বারবার সমতলের একই জায়গায় ফিরে আসেসুন্দর চেহারায় সকলের মন ভোলায়

 সুন্দর চেহারায় মন ভোলালেও শ্রাইক নামের পাখিটা খুবই নিষ্ঠুর এদের ধারালো নখ দিয়ে সহজেই ইঁদুর,টিকটিকি,পাখির বাচ্চা, ব্যাঙ,ছোট সাপ শিকার করে খায় এমন কি নিজের সমান ওজনের বা কারের পাখিও এরা ধরে খেতে পারে এবং অনেক সময় ওই পাখি ধরে নিয়ে অক্লেশে উড়েও যায়। শ্রাইক /কসাই পাখি লম্বায় লেজ সমেত 3-4 ইঞ্চির বেশি হবে না।

 কাজল কালো চোখ। স্লিম,সুন্দর গড়ন। কিন্তু স্বভাবে ভীষণ হিংস্র। খুব চটপটে। খুব দ্রুত উড়তে পারে। তবে,একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে। সবসময় একা বসে থাকে। প্রথমবার  দেখলে মনে হয় যেন বড়ই নিঃসঙ্গ কিন্তু এরা অত্যন্ত চালাক। শিকার ধরার জন্য অন্য পাখিদের গান বা ডাক নকল করে শিকারকে আকৃষ্ট করে। কাঁটা ঝোপের একদম উপরে দিকে বসে,যাতে শিকার ধরে নিয়ে এসে কাঁটাতে গেঁথে আটকে রাখতে পারে।

pakhi-prakriti-part-12-kasai-pakhi-shrike-butcher-bird-jana-ajana-feature-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী




বাদামি কসাই/কাজল পাখি (Brown Shrike) যে নামেই ডাকা হোক না কেন পাখিটা বেশ সুন্দর। সত্যিই যেন মায়া মাখা চোখে সুন্দর করে কাজল পরে বসেছে। চুপ করে শান্ত ভাবে বসে আছে।  এই রূপ দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে এটি  কার্নিভোর্স (Carnivores) অর্থাৎ মাংসাশী পাখি।

অন্যান্য অনেক পরিযায়ী পাখির মতো এরাও শীতের বার্তা নিয়ে হাজির হয় আবার বংশ বৃদ্ধির তাগিদে গরম পড়লেই চলে যায় শীত প্রধান অঞ্চলে তবে, শিকারি পাখি বলতে যা বোঝায় এরা তেমন নয় এরা সম্পূর্ণ মাংসাশী পাখি

  কসাই পাখিদের জাতি-প্রজাতি এবং গণ নিয়ে পক্ষী বিশারদদের মধ্যে যথেষ্ট মতান্তর রয়েছে কেউ বলেন ৩গণ,৩০প্রজাতি আবার কেউ বলেন ৪ গণে ৩৪ প্রজাতির কসাই পাখি সারা পৃথিবী জুড়ে আছে তবে আমি সামান্য মানুষ, মাত্র দূ- তিন রকম কসাই পাখি দেখেছি

 স্বভাবের জন্যে কসাই বলা হলেও এদের বাংলা নাম  হলো লাটোরা  শিকার ধরে গাছের কাঁটায় এরা গেঁথে রাখে এইভাবে কাঁটায় গেঁথে রাখার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে,প্রথমতঃ পেট  ভরে গেলেও শিকার করা খাদ্য রেখে দেওয়া যায়দ্বিতীয়তঃ বিষাক্ত পোকামাকড় এভাবে দু-একদিন ফেলে রেখে দিলে,তার বিষটাও কেটে যায়

ফাঁকা জায়গা এদের বেশি পছন্দআমি একে সবসময় গাছের মাথায় অথবা উঁচু ডালেই বসে থাকতে দেখি এতে দুরকম সুবিধা হয় উপর থেকে বসে সহজে শিকার খোঁজা যায় আর অন্য কোনও পাখি ওর এলাকায় ঢুকছে কিনা সেটাও দেখতে পায়কসাই পাখি খুবই মারকুটে স্বভাবেরযখন যেখানে থাকে তখন সেটা নিজের এলাকা বলেই ধরে নেয় তাই অন্য কেউ সেখানে এলেই মারপিট বেঁধে যায় শুনেছি,দুটো পুরুষ কসাই পাখি কক্ষনোও এক জায়গায় আসে না তাহলে এলাকা দখলের জন্যে মারামারি শুরু হয়ে যায় এবং তা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়,যে লেজ ছেঁড়াছিঁড়ি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে হেরে যায় তাকে সেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয় হেরে যাওয়া তো যেমন তেমন ব্যাপার কিন্তু মারপিট করে লেজ হারানো! কসাই পাখির কাছে সেটা মৃত্যুর সমান হয়ে ওঠে!

 মানব সমাজের মতো পাখি সমাজেও পাত্র-পাত্রী বা সঙ্গী/সঙ্গিনী নির্বাচন হয় তবে,পাখিদের সমাজে পুরুষ পাখিকেও সঙ্গিনীর কাছে নির্বাচিত হতে হয়মনুষ্য সমাজে যেমন পাত্রী সর্বগুণের অধিকারিনি হলেও,একঢাল কালো চুল হাঁটুর নীচে দুললে তবেই তার দাম থাকতো তেমনই,পাখিদের মধ্যে পুরুষ পাখির লেজও মহা মূল্যবান প্রজনন ঋতুতে,সঙ্গিনী খোঁজার সময় পুরুষ সঙ্গীর লেজের যে বাহার,তার একটা বিরাট ভূমিকা থাকে সঙ্গিনীকে খুশি করতে বা জোট বাঁধার জন্যে রাজি করাতে পুরুষ পাখিকে নেচে-গেয়ে দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে লেজের বাহার দেখাতেই হবে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় লেজের সৌন্দর্য প্রদর্শন করতে হয় তাই,প্রতিপক্ষ পুরুষ পাখি যদি এলাকা দখলের লড়াইয়ে লেজ হারায় এবং প্রজনন কাল আসার আগে যদি নতুন করে তার লেজ না গজায়,তবে তার সঙ্গে কোনও স্ত্রী পাখি জোড় বাঁধতে রাজি হয় না সেই সময় লেজহীন পুরুষ পাখির যন্ত্রণা মৃত্যুর সমান হয়ে ওঠে

 এমনিতেই স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই আলাদা আলাদা জায়গায় বাস করে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখি ভালো ভালো পোকামাকড় কাঁটায় গেঁথে জমিয়ে রাখে সেইসময় স্ত্রী পাখি পুরুষ পাখির এলাকায় গেলে তাকে আক্রমণ না করে, সাদরে গ্রহণ করে এবং তাকে খুশি করতে কাঁটায় জমিয়ে রাখা খাবারগুলো নিজেই স্ত্রী পাখিকে খাইয়ে দেয়

 সবকিছু মনোমতো হলে স্ত্রী পাখি জোড় বাঁধতে রাজি হয় কাপের মতো দেখতে খুব সাধারণ বাসা বানায় এরা ডিম পাড়ার পর দুজনেই মিলেমিশে  কাজ করেবাচ্চা উড়তে শিখলেই জোড় ভেঙে যে যার মতো চলে যায়

 আমার বাড়ির সামনে এবং আশেপাশে বহুবার ওদের দেখেছিপ্রায় রোজই দেখিএবার পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েও দেখলাম দু-একজোড়া কসাই পাখি ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গিমায় কত নামে ডাকা হয় এদেরসারা পৃথিবী জুড়ে এত রকমের কসাই পাখি থাকলেও আমি মাত্র দু-তিনটে প্রজাতিই দেখেছি "কি র-র-র"- কি--শব্দে কর্কশ ভাবে ডাকে।

 মার্চ-এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এদের প্রজনন সময় পহেল গাঁও-এ একরকম প্রজাতি তো  দার্জিলিং জেলার শিটঙ-এ আর একটু অন্য ধরনের প্রজাতির কসাই পাখি দেখেছি পাহাড়ি এলাকায় এদের রূপ ও রঙ অন্যরকম

 


পাখি পরিচিতি : বাদামি কসাই (Brown Shrike)

বৈজ্ঞানিক নাম : (Lanius Cristatus) অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত যেমন করকটা,কাজল পাখি, খয়েরী বা বাদামী লাটোরা নামেও এরা পরিচিত

  গত বছর লেহ্-লাদাখ ঘুরে ফিরতি পথে কাশ্মীর গিয়েছিলাম পহেলগাঁও দিয়ে কাশ্মীর যাবার পথে পহেলগাঁওতে দু-দিনের রাত্রিবাস ছিল দুপুরে পৌঁছে হোটেলে ব্যাগ রেখে একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাখির ছবি তুলতে কাছাকাছির মধ্যে এদিক ওদিক অনেক পাখির ছবি তুলেছি (তাদের কথাও নিশ্চয়ই বলবো) হঠাৎই চোখ পড়লো দুটো পাখির দিকেতাদের পেটটা মোটা আর মাথাটা ধূসর   নিজেদের মধ্যে বেশ ঝটাপটি করছিল এমন কি সারা শরীর এবং ঘাড়ের পালক ফুলিয়ে একে অন্যকে আক্রমন করছেপালক ছেঁড়াছিঁড়ি করছে আমি ক্যামেরা বন্দি করে চলেছি সেই দৃশ্যেরএমন সুযোগ তো পাওয়া যায় না!

 কিন্তু ছবিগুলো তোলার পর মনে হলো, আমি এতক্ষণ একটা পাখির নিষ্ঠুরতার দিকে আলোকপাত করিয়েছি সকলকে ওদের স্বভাব-আচরণ নিয়েও অনেক কিছু বলেছি কিন্তু আমরা,মানে মনুষ্যকুলও কসাই পাখির থেকে অনেকবেশি নির্মম ও নিষ্ঠুরনয়তো এমন ঝগড়াঝাঁটির ছবি তুলে কেউ অন্য কাউকে দেখায়! পরে ভাবলাম ছবি না তুললে কাউকে যে দেখাতেই পারতাম না আর না দেখালে সত্যিটা জানতে পারতে না আর নিশ্চয়ই বিশ্বাসও করতে না যে পাখি সমাজে এমন ঘটনাও ঘটে

 


পাখি পরিচিতি : মেটেপিঠ লাটোরা (Grey backed Shrike).

বৈজ্ঞানিক নাম: Lanius tephronotus.

এমন সুন্দর আর তার দীঘল কালো চোখ দেখে মনে হয় যেন মহাভারতের গান্ধারীর মতো কালো পট্টি দিয়ে চোখ দুটোকে ঢেকে রেখেছে

 মার্চ মাসে গিয়েছিলাম দার্জিলিং জেলার ছোট্ট সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম শিটঙ- এই গ্রামটি কমলালেবুর জন্যে বিখ্যাত এখানে অনেকেই পাখির ছবি তুলতে যান আমি বেড়াতে গিয়েই পাখির ছবি তুলেছি



 ভোরবেলা নানান পাখির কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বেরিয়ে পড়েছিলামহাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেলেও চারিদিক কেমন যেন মন খারাপ করা স্যাঁত স্যাঁতে কুয়াশায় মোড়া হঠাৎই মেঘলা আকাশ আর কুয়াশার চাদরে মোড়া শিটঙে সূর্যোদয়ের এক ঝলক আলো দেখা দিতেই মনটা ভালো হয়ে গেল কমলালেবুর বাগানের মধ্যেই আমাদের থাকার ঘর সূর্য উঠতেই চারিদিক কমলা আভায় ভরে উঠলো হোমস্টের সামনেই একটা সরু মুলিবাঁশ জাতীয় গাছের ঝাড় থেকে দু-চারটে বাঁশ লম্বালম্বিভাবে উপরের দিকে উঠে গিয়েছে বাঁশগুলোর এক হাত অন্তর গাঁট গাঁট আছেসেই বাঁশের গাঁটে এক জোড়া কালো মাথা কসাই দম্পতি বসে আছে অপূর্ব সুন্দর ভঙ্গিমায় মার্চ মাসের শেষ সময় থেকেই এদের প্রায় জোড়ায় জোড়ায় বসে থাকতে দেখা যায়এই সময়ই তো ওরা বাসা বাঁধবে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোলে তাকে একটু বড় করে দিয়েই আবার দুজনে দুদিকে চলে যাবে

 


 পাখি পরিচিতি : ল্যাঞ্জা লাটোরা/ মেটে লাটোরা/ কালো মাথা কসাই/লম্বালেজ কসাই /বাঘটিকি (Long Tailed Shrike).  

বৈজ্ঞানিক নামLanius Schach

এদের দেহের উপরের অংশ লালচে বাদামি রঙের চোখের উপর দিয়ে কালো একটা দাগ কান অবধি বিস্তৃতস্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে এই কালো দাগটা খুব বেশি স্পষ্ট হয় না কালো দাগের উপর সাদা রঙের একটা অংশ থাকে এদের লেজের রঙও লালচে বাদামী


তিন প্রকার কাজল / কসাই পাখি 

 পাখি হলো প্রকৃতির এক মহা মূল্যবান সম্পদ, প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যের এক অসামান্য উপহার  নানা ভাবে এরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শুধু সৌন্দর্যের  জন্যে নয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাতেও পাখির  ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ

 


ক্রমশ ……

 

১৩তম পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার। 


বিঃদ্রঃ – সব ছবি এবং ভি ডি ও লেখিকার নিজের তোলা । 

লেখিকার পরিচিতি –

লেখিকার জীবনের সঙ্গে গল্প অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। যা দেখেন, যা শোনেন, যা শোনেন, যা কিছু স্মৃতির পাতায় জড়িয়ে আছে মনের সাথে,তাই নিয়ে লিখতেই বেশি পছন্দ করেন

লেখা শুরু স্কুল-ম্যাগাজি, কলেজ -ম্যাগাজিন দিয়ে বর্তমানে কিছু লেখা প্রকাশিত হচ্ছে কয়েকটি মাসিক-ত্রৈমাসিক পত্রিকায় বর্তমানে বার্ড’স ফটোগ্রাফী এবং পাখি-প্রকৃতি” নিয়ে লেখা শুরু করেছেন