Advt

Advt

jona-ebong-daityakriti-timi-story-galpo-from-old-testament-by-nandita-saha-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-জোনা-এবং-তিমি

jona-ebong-daityakriti-timi-story-galpo-from-old-testament-by-nandita-saha-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-জোনা-এবং-তিমি

ঈশ্বর তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। দুই চোখ ভরে দেখেন ঈশ্বর  তাঁর এই সাধের  পৃথিবী । ঈশ্বর মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল যত্নশীল ।মানুষের  সুখ আনন্দ সুস্থ জীবনের কথাই ঈশ্বর ভাবেন । এক সময়  ঈশ্বরের দৃষ্টি পড়ল নিনেভ রাজ্যের দিকে ।  কি সাংঘাতিক কি ভয়ানক অরাজকতা এই শহর জুড়ে  । নগরবাসী   হারিয়েছে সততা নৈতিকতা  ভক্তি শ্রদ্ধা ।ঈশ্বর  বিষণ্ণ । খুব শিগগির ধ্বংস হবে  নিনেভ । এখুনি নিনেভ বাসীদের সতর্ক করতে হবে,তাদের ধ্বংসের বার্তা পাঠাতে হবে, জানাতে হবে তাদের ধ্বংস আসন্ন এবং অনিবার্য। তারা যেন সতর্ক হয়,তাদের বাঁচাবার চেষ্টা করে।  

কিন্তু কে এই বার্তা পৌঁছে দেবে ? 

ঈশ্বরের চোখ পড়ল জোনার দিকে। জোনা সৎ সাহসী এবং ভবিষ্যৎবক্তা। ঈশ্বর স্বপ্নে জোনার সাথে কথা বললেন ,

তুমি এখুনি যাও নিনেভ শহরে। প্রজাদের বলো  তারা এত পাপে নিমগ্ন যে এই শহর খুব শিগগির নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ,নিশ্চিহ্ন হবে প্রতিটি  নিনেভবাসী। আবাল -বৃদ্ধ -বনিতা কারো ক্ষমা নেই , তিনি কাউকে ক্ষমা করবেন না ”।

আমি!! সে কি!! ”জোনার কণ্ঠস্বরে ভয় ,আতংক। এই বার্তা নিয়ে তাদের সামনে দাঁড়ালে তারা আমাকে হত্যা করবে নির্ঘাত। না ,না , আর্তনাদ করে উঠল জোনা  । সে কিছুতেই এই বার্তা নিয়ে  নিনেভ যাবে না । ঈশ্বর দয়ার অবতার। নিশ্চয়ই তিনি  শহরকে ধ্বংস করবেন না,ক্ষমা  করে দেবেন । মিছে তিনি এমনটা বলছেন ।   

জোনা ভয়ে  থর থর করে কাঁপতে লাগলো। ঈশ্বরের নজর থেকে  তাকে পালাতে হবে কিন্তু কোথায় যাবে সে ? কোথায় গেলে ঈশ্বর তাকে খুঁজে পাবেন না? জোনা তার সকল সামগ্রী একটি পুটলিতে বেঁধে  রওনা হল অজানার উদ্দেশ্যে। কোথায় গেলে ঈশ্বর তাকে খুঁজে পাবেনা ভাবতে ভাবতে এসে পৌঁছল  ইজরায়েলের জোপ্পা  বন্দরে। একের পর এক জাহাজ যাচ্ছে আসছে । একটি  জাহাজে  জোনা উঠে পড়ল,এই জাহাজ যাবে  নিনেভর একেবারে উল্টোদিকে। এটিই  ঠিক।  নিশ্চিন্তে জোনা গিয়ে জাহাজের নিচে  একটি কুঠুরিতে  শুয়ে পড়ল ,ঈশ্বর আর তাকে খুঁজে পাবেন না। খাবার  খেয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন জোনা । জোনা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।

নাবিকেরা পাল তুলে জাহাজের হাল ধরল ,জাহাজ ভেসে চলল । সবার সে কি উল্লাস , সবাই নিজের নিজের গৃহে  ফিরছে । চারিদিক অন্ধকার করে হঠাৎ এক দমকা ঝড় উঠলো । এমনটা তো হবার  কথা  ছিল না । সমুদ্র তো এতক্ষণ শান্ত ছিল,নিশ্চিন্ত ছিল নাবিকেরা যাত্রীরা । কিন্তু হঠাৎই এ কিসের ইঙ্গিত     উথাল পাথাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে জাহাজের উপর। জাহাজ একবার ঢেউয়ের  ওপর একবার নিচে । গেল  গেল সব বুঝি রসাতলে গেল। যাত্রীরা নাবিকেরা দিশাহারা, মূল্যবান সম্পদ ছুড়ে ফেলছে জলে জাহাজ হালকা করবার জন্য , কিন্তু কিছুতেই কিছু নয় । ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার, ছোট্ট শিশু মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে  ভয়ে থর থর, গলা শুকিয়ে কাঠ। কি হবে কি হবে  ! এই শিশুকে বাঁচাতে পারবে তো নাকি সকলের সলিল সমাধি হবে । নাবিকেরা ছুটোছুটি  করছে , কি ভাবে জাহাজ রক্ষা করা  যায় । হঠাৎ এক নাবিকের চোখে পড়লো জোনা  কে । কে এই ব্যক্তি ওই কোনায় এমন একটি সময়ে এমন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে ! জাহাজ ডুবি হবার যে আর বাকি নেই  !!  নাবিক চিৎকার করে ডাকলো ,

ওহে ওহে ওহে ওঠো জাগো ঝড় উঠেছে আর রক্ষে নেই আর উপায় নেই সবাই ঈশ্বরকে স্মরণ করো এবার মৃত্যু নিশ্চিত । আমরা একেবারে মৃত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি ।  জাহাজ ডুবে গেল বলে !! আমরা সবাই নিরুপায় ,চলো এক সাথে মৃত্যু কে বরণ করি ” ।

জোনা গভীর ঘুম থেকে উঠে বসল  ধড়মড়  করে । সে কি! এত জল এত হাওয়া !   জোনার চোখে মুখে বিস্ময়  । এমনটা তো ছিল না , সত্যিই তো সমুদ্র  ছিল একেবারে শান্ত আকাশ ছিল নীল বাতাস ছিল ঝিরঝিরে মিষ্টি  । নাবিকের মনে সন্দেহ , জিজ্ঞেস করল, কে তুমি ? কোথা থেকে আসছো ? তোমার দেশ কোথায় ?

নাহ , আর পালিয়ে বেড়ানো  নয়    জোনা  অকপটে স্বীকার  করল , “আমি ঈশ্বরের স্নেহধন্য কিন্তু আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলাম ,আমি ঈশ্বরের আদেশ  অমান্য করেছি  । আমার কারণেই এই বিধ্বংসী ঝড় , আমার কারণেই এই বিপদ । তোমরা আমাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করো  তবেই  ঝড় থামবে। আমি পাপী আমার শাস্তি হোক । তবেই তোমরা নিরাপদ হবে বিপদমুক্ত হবে ।””

নাবিকেরা একে অপরের দিকে তাকালো , কি করবে তারা ?   কি করে সম্ভব,   কি একটা কথা হল  ! এক অসহায় মানুষকে তারা জলে ছুড়ে ফেলবে! হত্যা করবে  ! তারা কি হত্যাকারী? না হত্যা    তারা    করবে না। এ ছাড়া  আর কি কোন পথ নেই ? নাবিকেরা  শক্ত  হাতে হাল ধরল,  তীরের      দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করল  জাহাজ । কিন্তু দমকা ঝড়ে টালমাটাল জাহাজ,ঝড় যে একই বেগে বইছে।  জাহাজ রক্ষা করা মুশকিল ।আর উপায় নেই। তারা হাঁটু মুড়ে প্রার্থনা করল,হে ঈশ্বর এই ব্যক্তিটিকে আমরা জলে ছুঁড়ে ফেলছি, এই মৃত্যু  হত্যার সমান । আমরা নিরুপায় ,আমাদের ক্ষমা করো আমাদের ক্ষমা করো প্রভু ।

চাং দোলা  করে তুলে নিক্ষেপ করল  জোনাকে  ওই গভীর সমুদ্রে , মুহূর্তে সমুদ্র শান্ত হল ঝড়ো হাওয়া স্তব্ধ হল নিশ্চিন্ত হল ভীত নাবিকেরা যাত্রীরা । সবার যেন খানিক নিশ্চিন্তি এবার বাড়ি ফেরা যাবে , আবার গৃহে প্রিয়জনের সঙ্গে তাদের দেখা হবে।

সমুদ্রে জোনা ডুবে যাচ্ছে তলিয়ে যাচ্ছে খুব শিগগির নির্ঘাত সে একেবারে ডুবে যাবে,তার  মৃত্যু অবধারিত । জোনার ছোট্ট শরীর একবার  ঢেউয়ের ওপরে একবার  নিচে। কিন্তু ঈশ্বরের নজর সর্বক্ষণ জোনার দিকে,ঈশ্বরকে এড়ায় সাধ্য  কার ! ঈশ্বর সব দেখছেন ।  জোনা  ভয়ে দিশেহারা । এক মনে ঈশ্বরের নাম করে যাচ্ছে ,হে  ঈশ্বর হে প্রভু আমাকে বাঁচাও। ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ,সামুদ্রিক  সাপ, পোকা   তাঁর চারপাশে    ঈশ্বরের নির্দেশে এক বিশাল আকৃতির   তিমি  ছুটে এলো । এত বড় তিমি    !    জোনা ভয়ে  আর্তনাদ ,করতে লাগলো আর   শেষ রক্ষা হল না তিমির বিরাট হা এর মধ্যে অতর্কিতে  ঢুকে গেল জোনা । সব শেষ  , আর বাঁচা গেল না । ঈশ্বরের নির্দেশ সে অমান্য করেছে ঈশ্বর তো তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবেনই  । তিমির পেটের গহ্বরে জোনা বসে রইল। চারিদিক নিকষ কালো অন্ধকার এতটুকু আলো নেই এতটুকু হাওয়া নেই, দম বন্ধ হয়ে আসছে । জোনা কি বেরোতে পারবে  ?

ঈশ্বরের কাছে  প্রার্থনা শুরু করলো ,“হে ঈশ্বর হে করুণাময় তুমি উদার তুমি আমাকে ক্ষমা করো আমাকে বাঁচাও আমাকে রক্ষা করো  । প্রভু তুমি সর্বশক্তিমান। স্বীকার করছি আমি তোমার নির্দেশ অমান্য করেছি আমি পাপী, তবু তুমি আমাকে বাঁচাও আমি বাঁচতে চাই    

তিমির পেটের ভেতর জোনার রাত দিন সব এক হয়ে গেছে। কখন সূর্য উঠছে কখন চাঁদ উঠছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না , তবু জোনা বুঝতে পারছে একটি দিন চলে গেল। চলে গেল দুইটি দিন। এখনো জোনা বেঁচে আছে  । শরীর  তাঁর দুর্বল,আহার নেই ,খাবার  জল নেই !  তিমির পেটের ভেতর গুটিসুটি হয়ে একভাবে  বসে  আছে । একইভাবে তিনদিন কেটে গেল । এই তিন দিন জোনা পেটের ভেতর বসে কেবল ঈশ্বরকে স্মরণ করে যাচ্ছে  । এইবার ঈশ্বর তার সৃষ্ট   তিমিকে নির্দেশ দিলেন। প্রভুর নির্দেশে তিমি সমুদ্র তীরে তার পেটের ভেতর থেকে উগরে ফেলে দিল জোনাকে। জোনা আবার পৃথিবীর আলো দেখল বাতাসের ঘ্রাণ নিলো,প্রাণ ভরে  নিঃশ্বাস  নিলো । উফ কি আনন্দ কি আনন্দ! অন্ধকার থেকে,মৃত্যুর মুখ থেকে সে ফিরে এসেছে ঈশ্বর তাকে রক্ষা করেছেন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ।

এবার প্রভুর নির্দেশ আবার ধ্বনিত হল , প্রভু আবার  নির্দেশ দিলেন   -

জোনা এইবার তুমি নিনেভ যাও , আমার বার্তা তাদের পৌঁছে দাও , তাদের সতর্ক করে দাও। এবার আর কোন অমত নয়। বহুদূর পথ কখনো হেঁটে কখনো নৌকায়  কখনো উটের  পিঠে সে এসে পৌঁছল নিনেভ  শহরে । দেশবাসীদের জানালো   ঈশ্বরের  বার্তা । রাজা এবং দেশবাসীর প্রতিক্রিয়ায় জোনা অবাক হয়ে গেল, এমনটা তো সে ভাবেই নেই। জোনা তো কত  ভয় পেয়েছিল ,     কিন্তু  নিনেভবাসীরা তার কথা বিশ্বাস করল , কোন বিরূপ মন্তব্য কেউ করল না বা তাকে আঘাত করল না পর্যন্ত।

নিনেভর রাজা দেশবাসীকে সতর্ক করল,তোমরা সবাই প্রভুর কাছে ক্ষমা চাও প্রভুর  কাছে প্রার্থনা  করো , নিজের দোষ স্বীকার করো। তোমরা উপবাস   থেকে  সাধারণ চটের পোশাক পড়ে ঈশ্বরের আরাধনা কর সারাদিন সারারাত। ঈশ্বর শুনলেন তাদের কান্না তাদের দুঃখ। তারা অনুতপ্ত তাদের পাপ কর্মের জন্য    চির সুন্দর প্রভু  ক্ষমা করলেন  নিনেভবাসীদের। সর্বনাশের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেল    নিনেভ।  চারিদিক ঈশ্বরের জয় গানে ভরে উঠল, ভরে উঠলো আকাশ বাতাস ।

জোনা  কিন্তু  দারুণ ক্ষুব্ধ । জোনা জানতো এমনটাই হবে,ঈশ্বর   নিনেভ  ধ্বংস করবেন না। জোনা   মিছেই কেবল এত বড় ঝড়-ঝাপটার মধ্য দিয়ে জীবনের অনেকটা সময় কাটাল। মিছেই সে এত পরিশ্রম করল , এত  কষ্ট করে  এতদূর এলো । রাগে দুঃখে জোনা  শহর   ছেড়ে   চলে এলো । শহরের বাইরে  পাণ্ডববর্জিত  এক ধূসর অনুর্বর জায়গায় গিয়ে জোনা বসলো । নিজের একটি ছোট্ট থাকবার জায়গা তৈরি করল। প্রভুর প্রতি তার ভীষণ রাগ , কেন প্রভু পাপে জর্জরিত নিনেভ  ধ্বংস করলেন না, তবে প্রভু কেন বললেন , কেন তাকে পাঠালেন !! আর  সে শহরে ফিরে যাবে না , এইখানে বসেই দূর থেকে লক্ষ্য রাখবে কবে ঈশ্বর  নিনেভ  ধ্বংস করবেন ,আদৌ কি ধ্বংস করবেন  ?  জোনা নিজের মৃত্যু কামনা করল এর চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো।

জোনার   দিন কাটে একা, চারিদিক জনশূন্য। ঈশ্বর একটি গাছ তৈরি করলেন। সেই গাছ প্রায় রাতারাতি তরতর করে বড় হয়ে জোনার মাথার উপর ছায়া দিলো, সূর্যর প্রখর তাপ থেকে জোনা  মুক্তি  পেল,বাঃ কি শান্তি কি আরাম । কিন্তু খুব শিগগিরই ঈশ্বর সেই গাছে  কীট  পাঠালেন,কীট গাছটি খেয়ে ছিবড়ে  করল। শুকনো  পাতাবিহীন ছায়াবিহীন গাছটি মরে গেল।আবার প্রখর তাপে জোনার শরীর পুড়ে যায় জ্বলে যায়, তেষ্টায়  গলা শুকিয়ে কাঠ। জোনার আফসোস, ইস, সুন্দর গাছটি  মরে গেল!! রোদে  কি কষ্ট! এর চাইতে মরে যাওয়া শ্রেয়। হে ঈশ্বর আমাকে তুমি মৃত্যু দাও। জোনা বিচলিত , এভাবে সে আর বেঁচে থাকতে চায় না ।

জোনা যখন এতটা কাতর , বাতাসে শান্ত ধীর গভীর কণ্ঠস্বর  ভেসে এলো । জোনা জানে এ ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর ।ঈশ্বর বললেন ,

এই গাছটির জন্য তোমার এত দুঃখ এত কষ্ট এত রাগ  ! এই গাছটি শুকিয়ে যাওয়ায় তোমার মন এতটাই  ভারাক্রান্ত , যে তুমি  মরতে  চাইছ। কিন্তু  তুমি তো এই গাছটির কোন যত্নই করোনি  । তবুও গাছটির ধ্বংস তোমায় দুঃখ দিয়েছে। একদিনও তুমি গাছের গোড়ায় জল দাওনি।  তবুও গাছটি কে তুমি  ভালবাস । তাহলে ভেবে দেখো জোনা ,যে নিনেভ বাসীদের আমি   যত্ন করে সৃষ্টি করেছি তাকে ধ্বংস করতে আমার  কতটা দুঃখ হবে কতটা অশ্রু ঝরবে! আমি যে ভালবেসে তাদের সৃষ্টি করেছি। তুমি কি এখনো ভাববে তাদের মেরে ফেলাই শ্রেয় ছিল !! ’’

জোনা  নিরুত্তর । সন্দেহ রইল না,সত্যিই ঈশ্বর উদার ,ঈশ্বর হানুভূতিশীল। ঈশ্বর প্রেমময় ।

লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন । 

লেখিকার পরিচিতি -

জন্ম পশ্চিমবঙ্গ-র কুচবিহার শহরে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। প্রথম কবিতার বই ' সুখের ঠিকানা', গল্প সংকলন 'চিরন্তন'। ইংরেজি কবিতার বই  'Bouuet of Poems'  বিভিন্ন পত্রিকায় লেখেন। বেশকিছু কিশোর সংকলনে গল্প প্রকাশিত হয়েছে। 

স্টেটস্‌ম্যান, সুখবর, সকালবেলা ইত্যাদি খবরের কাগজে গল্প প্রকাশিত হয়েছে।  দেশ,  সানন্দা, প্রসাদ, সারথি পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। 'Times of India'-তে বেশ কয়েকবার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জীবনের শুরু।বর্তমানে কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখতেই বেশি ভাল বাসেন ।  বহু e magazine এ লেখেন ।