ধারাবাহিক – শেষ পর্ব
(ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে)
ডেভিড
স্যামুয়েল এর ওপর এসে পড়ল
দায়িত্বভার। ইজরায়েলীরা রাজা চায়
কিন্তু কে হবে রাজা! রাজার সেই দরদী
প্রজানুরঞ্জন বিচক্ষণ গুণ থাকতে হবে তো! স্যামুয়েলের বিশ্বাস এমন একজন
নিশ্চয়ই আছে যে সাফল্যের সাথে রাজকার্য সামলাবে, এগিয়ে নিয়ে
যাবে ইজরায়েল জাতিকে ।
স্যামুয়েল খুঁজে পেল সাওলকে! এক ইহুদি,সুপুরুষ,কিস এর
পুত্র। রাজার গুণ সবই আছে তার মধ্যে। আর দেরি কেন!
সাওলের রাজ্যাভিষেক হল। রাজা সাওল
বিচক্ষণতার সাথে রাজকার্য সম্পন্ন করছে , ইহুদিরাও
খুশি রাজার কাজে। কিন্তু একসময় ধীরে ধীরে
সাওল স্বৈরাচারী রাজায় পরিণত হল । স্যামুয়েল সাবধান করল সাওলকে
বারবার, চিন্তিত
হল রাজার আচরণে। স্যামুয়েল জানে এভাবে চলতে থাকলে আবার বিপদের সম্মুখীন হবে । আবার নতুন রাজা খোঁজা
শুরু করল স্যামুয়েল পেয়েও গেল তার পছন্দমত ।
মেসির ছেলে ডেভিডকে। সে বীণা
বাজায়,সততার একনিষ্ঠ পূজারী , ডেভিডের
প্রখর বুদ্ধি , তার বীণার
তারে অদ্ভুত মূর্ছনা। ডেভিড এলো সাওলের প্রাসাদে। ডেভিডকে ভারী পছন্দ সাওলের। রাজা
সাওল যখন অবসাদ ভোগে পাশে বীণা হাতে বসে থাকে ডেভিড। রাজার মন সুরে সুরে ভালো হয়ে
যায়।
এদিকে ফিলিস্তিনিরাও বিরক্ত
করে যাচ্ছে ইজরায়েলীদের বারে বারে। ফিলিস্তিনিদের পাঠানো ভয়ঙ্কর দৈত্য গলিয়াথ!
তার সামনে দাঁড়ালে মৃত্যু অবধারিত । ইজরায়েলীদের
মধ্যে ত্রাহী ত্রাহী রব। ভয়ে কেউ এগিয়ে এলোনা। কেবল একজন এসে দাঁড়ালো,ডেভিড। অনায়াসেই গলিয়াথ কে তার বুদ্ধি দিয়ে কুপোকাত
করল ডেভিড । চারিদিকে জয়জয়কার ডেভিডের।
জনগণ তার গুনগান গায় তাকে নিয়ে গান বাধে।
তবুও যুদ্ধ ঠেকানো গেল না।
যুদ্ধে রাজা সাওলের ছেলে জোনাখানের মৃত্যু
হল। রাজা সাওল ভেঙে পড়ল। রাজা জানে এবার তার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী, কিন্তু পায়ে শেকল
পড়ে সে ফিলিস্তিনিদের শিবিরে কিছুতেই যাবে না। রাজা নিজের বুকে বিষাক্ত
ছুরি বসিয়ে নিজেই দেহত্যাগ করল। বন্ধু জোনাথান
এবং রাজা সাওলের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছল ডেভিডের কাছে। ডেভিডে-এর গলার
কাছে কান্না দলা পাকিয়ে উঠলো , উঃ কি
কষ্ট ! কি কষ্ট ! বন্ধু বিয়োগ যে বড়
যন্ত্রণার ! বন্ধু জোনাথান যে প্রকৃত বন্ধু, তার মনের
অনেকটা জায়গা দখল করে আছে। ডেভিডের কবি
সত্তা গান বাঁধলো বন্ধুকে নিয়ে, রাজাকে
নিয়ে। বন্ধু হারানোর দুঃখ তার কোনদিন কমবে না।
*****
ধীরে ধীরে চারিদিক শান্ত হল।
সবাই ডেভিড কে চায়। ইজরায়েলীদের ইচ্ছায়
ডেভিড রাজা হল রাজকার্যর সকল দায়িত্ব, ইজরায়েলীদের ভালো রাখার দায়িত্ব এখন তার। ন্যায় নিষ্ঠার
সাথে সে পালন করছে তার রাজকর্ম। ধীরে ধীরে
জেরুজালেম শহরে নিজের প্রভাব বিস্তার করল, জেরুজালেমকে ইজরায়েল এর
রাজধানী করা হল, নাম হল “দ্য সিটি অফ ডেভিড
’’।
ডেভিডের তত্ত্বাবধানে পবিত্র
সিন্দুক “আর্ক অফ কভেন্যান্ট’’, নিয়ে আসা
হল জেরুজালেমে। প্রতিটি ইজরায়েলীর সাথে রাজা ডেভিডও নাচতে নাচতে উল্লাসে সিন্দুকটি স্থাপনা করল। রাজা ডেভিডের বড় ইচ্ছে বড় এক মন্দির নির্মাণ
করে সেই মন্দিরেই থাকবে,আর্ক অফ কভেন্যান্ট। কিন্তু
ঈশ্বর তেমনটা চান না। তিনি বললেন ,
“ না,ডেভিড
নয়। জেরুজালেমে মন্দির তৈরি করবে তোমারি কোন এক সন্তান ’’।
ডেভিড মেনে নিলো ঈশ্বরের
ইচ্ছা। আরও বেশ কিছু বছর পর—-----------------
এবার রাজা ডেভিড বৃদ্ধ,বুঝতে
পারছে আর তার সময় বিশেষ নেই এবার তার ডাক আসবে। তার শরীর জরাজীর্ণ,এই
শরীরের ভরসা নেই। এবার তাকে সব ছেড়ে যেতে
হবে । বৃদ্ধ রাজা ডেভিড ডেকে পাঠাল পুত্র সলোমন কে। ডেভিডের গলার স্বর ক্ষীণ
হয়ে এসেছে। মুখে হালকা হাসি নিয়ে বলল ,
“এবার এই
পৃথিবী ছেড়ে খুব শিগগিরই আমাকে যেতে হবে
। তুমি যেন ভেঙে পড়ো না সলোমন। এটিই
জীবনের নিয়ম। ঈশ্বর সত্যের পথের নির্দেশ দিয়েছেন , তুমি সেই
ন্যায়নিষ্ঠ সত্যের পথেই থাকবে। নিজের সততা থেকে এক চুল বিচ্যুত হবে না, ইজরায়েলীদের
ও সঠিক পথে থাকতে উৎসাহ দেবে। তবেই ইজরাইলরা পৃথিবীতে এক শক্তিশালী জাতি হয়ে উঠবে, তুমি হবে
একজন আদর্শ মানুষ ’’।
ঘনিয়ে এলো ডেভিডের শেষ দিন।
উদার রাজা স্বর্গের রথে যাত্রা করলেন। মানুষ চিরকাল মনে রাখল ডেভিড কে।
কিং সলোমন
সলোমন এখন ইজরায়েলের
রাজা। কয়েক হাজার প্রজা তার অধীনে । সলোমনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ,হাজার
হাজার প্রজার সমস্যা কি করে সে সমাধান করবে! সেই ক্ষমতা কি তার আছে ! সে যে নিতান্তই সাধারণ একটি মানুষ , তার ওপর
পিতা ডেভিড তার পাশে নেই যে তাকে উপদেশ দেবে,বিপদে হাত
বাড়িয়ে দেবে। সলোমন তার স্বর্গত পিতা ডেভিডের নির্দেশ মতো ঈশ্বরের প্রতি স্থির রইল। সলোমন
বিশ্বাস করে ঈশ্বর যা করেন ,মঙ্গল করেন। প্রজারা পাহাড়ে
পাহাড়ে গিয়ে নিরিবিলি স্থানে ঈশ্বরের আরাধনা করে কারণ কোন মন্দির যে তখনও
তৈরি হয়নি ,যেখানে ঈশ্বর অধিষ্ঠান করবেন এবং প্রজারা
একসাথে তার সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করবে ।
রাজা সলোমন একদিন রাতে গিবন
শহরে গেল , ওখানেই সে ঈশ্বরের প্রার্থনা
করবে। কিছু সৈন্য নিয়ে রাজা পৌঁছুল । পূজা , প্রার্থনা
শেষে রাতে গভীর নিদ্রায় মগ্ন কিং সলোমন। চারিদিক
নিস্তব্ধ ,একটি মানুষও জেগে নেই। ঈশ্বর তাকে স্বপ্নে দেখা দিলেন,
“বৎস সলোমন, বলো তুমি
আমার কাছ থেকে কি উপহার চাও।”
“প্রভু আমি
জ্ঞান চাই। আমি বুদ্ধি চাই। আমি যেন প্রজাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম থাকি, প্রজাদের
সুষ্ঠ ভাবে চালনা করার ক্ষমতা আমার হোক।
প্রভু , তুমি আমাকে বিচক্ষণতা দাও ”।
“আমি
সন্তুষ্ট তোমার উত্তরে। তুমি ধন দৌলত
প্রাচুর্য বিলাসিতা চাওনি , নিজের দীর্ঘ আয়ুও তুমি
কামনা করনি, নিজের জন্য তুমি
কিছুই চাইলে না। তুমি নির্লোভ একটি
মানুষ। আমি মুগ্ধ। তোমাকে জ্ঞান দিলাম বুদ্ধি দিলাম বিচক্ষণতা দিলাম। তুমি হবে
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। আমি তোমাকে দীর্ঘ আয়ু দিলাম ।”
রাজা সলোমনের ঘুম ভেঙ্গে গেল। হকচকিয়ে উঠে বসল, কি দেখল
সে ! কার সাথে কথা কইল ! কেউ তো নেই । থর থর করে কাঁপছে সলোমন। বুঝতে বাকি রইল না
ঈশ্বর স্বয়ং তাকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন , এটি
যে তার
পরম প্রাপ্তি ! ওহ, কি শিহরণ!
কি আনন্দ ! সকালেই সলোমন রওনা হল জেরুজালেমের উদ্দেশ্যে,প্রজারা
যে অপেক্ষায় আছে।
রাজ কার্যে ব্যস্ত হয়ে পড়ল
রাজা সলোমন।
একদিন দুই নারী তার দরবারে
এসে হাজির সাথে ছোট্ট এক দুগ্ধপোষ্য শিশু।
দুই মহিলার চোখেই জল দুজনের মুখেই একই দাবি ,এই সন্তান
আমার। কিন্তু একটি সন্তানের দুইটি মা কখনো
সম্ভব নয়। সন্দেহ নেই একজন মিথ্যাচার করছে ,কিন্তু কে
সেই মহিলা !! এ তো মহাসংকট ! কেউই ছোট্ট
শিশুর দাবি থেকে এতোটুকু সরছে না দুজনেই একেবারে অনড়,দুজনেরই
চোখে বানভাসি। কিভাবে রাজা সঠিক সিদ্ধান্তে আসবেন? রাজা
সলোমনের বড্ড হতাশ, কি করবে সে !! কি করে বুঝবে
কে এই শিশুর মা !!
হঠাৎ রাজা সলোমন উঠে দাঁড়াল ,শিশুটিকে
নিজের এক হাতে ঝুলিয়ে নিলো। শিশুটির মাথা নিচে পা উপরে। এবার তার সৈন্যকে নির্দেশ
দিলেন ,“ একটি ধারাল তরবারি নিয়ে আসো”। রাজ আজ্ঞা পেয়ে
ছুটলো সৈন্য।
হঠাৎ সভাঘর স্তব্ধ, দুই নারীর
কান্নাও বন্ধ। সবার মনে একই প্রশ্ন , কি হতে
চলেছে ? রাজা কি করবেন? রাজার হাতে চকচকে
তরবারি। রাজা জোরে ঝাঁকালেন , শিশু চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। রাজা ধীর স্বরে বললেন ,
“এবার
শিশুকে এই তরবারি দিয়ে দুইটি খণ্ড করব।
তারপর তোমরা এক এক খণ্ড নিয়ে চলে যাও। তোমরা দুজনেই শিশুকে পাবে । ”
“না না
শিশুটিকে এইভাবে তরবারি দিয়ে দুই খণ্ড করলে শিশুটি যে মরে যাবে!! ” আর্তনাদে
ফেটে পড়লো প্রথম মহিলা। কিন্তু অন্য
মহিলার মুখে একটি ক্রূর হাসি ,বলল ,
“এটাই ঠিক।
আমরা তবে কেউই পাবো না শিশুকে। দুই টুকরোই করা হোক ”।
প্রথম মহিলার আবার আর্তনাদ,
“চাই না
চাই না চাই না আমার সন্তান।ও-ই ওকে নিয়ে নিক , শিশুটিকে
ওকেই দিয়ে দিন মহারাজ তবু ওকে মারবেন না দয়া করুন শিশুকে বাঁচিয়ে রাখুন শিশুকে
বাঁচিয়ে রাখুন”।
কান্নায় ভেঙে পড়ল প্রথম
মহিলা। এইবার সলোমনের মুখে হালকা হাসি,সঠিক
সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে সে। ক্রন্দনরত
মহিলার কোলে শিশুকে তুলে দিল। সন্দেহ নেই
সে–ই আসল মা। সত্যি কারের মা - ই এমন করতে পারে । শিশুকে মেরে ফেলার চাইতে
দিয়ে দেওয়াই শ্রেয়,তবু সে বেঁচে থাকবে।কোন মা
সন্তানের মৃত্যু চায় না।
রাজা অনেক উপহার দিয়ে শিশুকে তার মায়ের কাছে ফেরত
দিলেন , সেই মিথ্যাচারী মহিলাকে কারাগারে নিক্ষেপ করলেন ।
এমন কঠিন এক সমস্যার এমন
সুন্দর সমাধানে মুগ্ধ ইজরায়েলীরা।
চারিদিকে কেবল রাজা সলোমনের জয়ধ্বনি।
পুত্রকে ফিরে পেয়ে মহিলার দুই চোখে সুখের অশ্রু।
সন্তানকে বুকে চেপে ধরল , কৃতজ্ঞতায়
মন ভরে উঠল নারীর। রাজার এমন বিচক্ষণতায়
প্রজারা মুগ্ধ, নিশ্চিন্ত।
সলোমন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন । ঈশ্বর
সত্যিই তাকে বুদ্ধি জ্ঞান দিয়েছেন । স্বপ্ন তার সত্যি হয়েছে।
ধীরে ধীরে সলোমন সবার প্রিয় রাজা হয়ে উঠল ,রাজাই
সকলের একমাত্র ভরসা। প্রজারা তাকে শ্রদ্ধা
করে বিশ্বাস করে । ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ হয়েছে । সলোমন
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধনী সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী রাজা হয়ে উঠলেন,দিকে দিকে
তার নাম ছড়িয়ে পড়ল,উপহারে উপহারে ভরে উঠল প্রাসাদ। দারিদ্র্য কোথায়
পালিয়ে গেল । ধনী হয়ে উঠল প্রতিটি প্রজা,ইজরায়েল হয়ে উঠল সুখের স্বর্গ রাজ্য ।
এক নতুন ভাবনা রাজা সলোমনের
মাথায় ঘুরছে। ধর্মপ্রাণ রাজা
ঈশ্বরকে ভালোবাসে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে। ঈশ্বর নিজেও সলোমনকে
তার প্রিয় ভক্ত মনে করেন । এখনই
ঠিক সময় , এবার মন্দির তৈরি করতে হবে
জেরুজালেমে। মন্দিরে ঈশ্বরের পুজো হবে ভক্তদের সমাগম হবে প্রার্থনা হবে এক
স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি হবে। সম্মানের সাথে মন্দিরের গর্ভগৃহে “চুক্তির সিন্দুক” (ARK OF
COVENANT) স্থাপনা করা হবে।
দিকে দিকে খবর পৌঁছল , পৌঁছল
জেরুজালেমের বাইরে। সলোমন অল্পে খুশি নয়। তার চাই শ্রেষ্ঠ কারিগর, শিক্ষিত
এবং দক্ষ । পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে তাদের সসম্মানে আমন্ত্রণ করে আনা হল । চাই
উচ্চমানের পাথর কাঠ নানা সামগ্রী। দীর্ঘ সাত বছর এই মন্দির তৈরির কাজ চলল। সোনার পাত
দিয়ে মুড়ে দেওয়া হল মন্দিরের অভ্যন্তর । সলোমন দূত
পাঠালেন টায়ার প্রদেশে। সেখানে ব্রোঞ্জ এর
দক্ষ কারিগর হিরাম। আপ্যায়ন করে তাকে আনা হল জেরুজালেমে। প্রবেশ মুখে তৈরি
হল বিশালাকৃতি ব্রোঞ্জের স্তম্ভ। সেই স্তম্ভে ঈশ্বরের নাম খোদাই হল। ঈশ্বরের মহিমা ছড়িয়ে পড়ল দিকে দিকে ,প্রজারা
আনন্দে আত্মহারা । এমনই প্রার্থনা করবার একটি জায়গায় তারা চেয়েছিল এবং কিং সলোমনের
রাজত্বে সেটা তারা পেল। মন্দির তৈরি সম্পূর্ণ হল ,অতি যত্নে
শুভক্ষণে স্থাপন করা হল পবিত্র, “চুক্তির সিন্দুক ”। মন ভরে উঠল রাজার , ঈশ্বর
তুষ্ট হলেন । দিকে দিকে কেবল ঈশ্বরের জয় ,রাজার জয় ।
দিন দিন রাজার ঐশ্বর্য প্রতাপ প্রাচুর্য বেড়েই চলল। হাজার হাজার সৈন্য অশ্ব নৌবহর কি নেই ইজরায়েলে!! শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন রাজার বিচক্ষণতার ক্ষমতার কথা ছড়িয়ে পড়ল দেশ থেকে দেশান্তরে । ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি রেখেছেন । ইজরায়েল হয়ে উঠল শ্রেষ্ঠ । জেকবের বংশ ধরেরা হল শ্রেষ্ঠ জাতি ।
সমাপ্ত
লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
লেখিকার পরিচিতি -
স্টেটস্ম্যান, সুখবর, সকালবেলা ইত্যাদি খবরের কাগজে গল্প প্রকাশিত হয়েছে। দেশ, সানন্দা, প্রসাদ, সারথি পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। 'Times of India'-তে বেশ কয়েকবার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জীবনের শুরু।বর্তমানে কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখতেই বেশি ভাল বাসেন । বহু e magazine এ লেখেন ।
.jpg)

