আলোয়
ভাসে মাঠ,
আকাশ
নীল নয় — আজ নীল জার্সির রঙে রাঙা।
স্টেডিয়ামের
প্রতিটি চিৎকারে
একটি
মেয়ের শৈশব জেগে ওঠে,
যে
একদিন বল ধরেছিল পাড়ার ছেলেদের ভিড়ে
আর
শুনেছিল — “মেয়েরা খেলতে জানে না।”
আজ
সে-ই ইতিহাস লেখে।
রিচা
ঘোষ — শিলিগুড়ির মেয়ে,
তার ছয় মারার আওয়াজে
পাহাড়ের বজ্র ধ্বনি।
ব্যাটে
ঝলকে ওঠে শৈশবের প্রতিজ্ঞা,
যে
প্রতিজ্ঞা বলে —
“আমি হারব না, আমি থামব না।”
সেই
প্রতিজ্ঞার নাম এখন বিশ্বকাপ।
তাদের
চোখে জ্বলে অগণিত মায়ের প্রার্থনা,
তাদের
পদক্ষেপে কাঁপে পুরোনো সীমারেখা।
আজ
ভারত জয়ী —
কিন্তু
এই জয় ট্রফির নয়,
এই জয়
সেই সমস্ত মেয়েদের
যারা
স্বপ্ন দেখেছিল
বল
হাতে, ঘাসে হাঁটু ছুঁয়ে,
আকাশ
ছুঁয়ে।
রিচা,স্মৃতি,হারমান,দীপ্তি —
তোমাদের
হাসির ভেতরই
নতুন
ভারতের মুখ
নতুন
সম্ভাবনার রোদ।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি –
কালীপদ চক্রবর্ত্তী দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন।
দিল্লি,কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান, আজকাল পত্রিকা, নবকল্লোল,শুকতারা, শিলাদিত্য,সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী,পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ, কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ,তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান, কিশোর বার্তা, জলফর্ড়িং এবং অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। এছাড়াও আকাশবাণী কলকাতা এবং এফ এম রেডিও চ্যানেলগুলোতে লেখা পড়া হয়ে থাকে।
তাঁর প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা ১০ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।
‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান, সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।
বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ' ও www.tatkhanik.com এর সম্পাদক এবং দিল্লিতে প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।
.jpg)
.jpg)