শিশুদের হচ্ছে শৈশব চুরি
এ তো বড়দের জারিজুরি ।
শিশুরা হচ্ছে ঘর-বন্দী
এ তো বড়দেরই ফন্দি ।
হাতে দিলে মুঠোফোন
শিশুরা শান্ত তখন ।
থাকে না তাদের নড়াচড়া
বড়দেরও যেন দায়সারা ।
আড়াই তিনেই যাচ্ছে স্কুল
মা - বাবারই নিতান্ত ভুল ।
শুরু থেকেই কড়া শাসন
খেলতে নেই যখন তখন ।
নাচ-গান , পড়া , খেলা,
লেখা , আঁকা , ছড়াবলা ,
সবেরই আছে সময় ধরা
হয় না যা ইচ্ছে তাই করা ।
গল্প করার নেইকো সময়
তাতে যে নিয়ম ভাঙা হয় ।
খেতে নেই কারো টিফিন ,
দিতে নেই কোনও ভাগ ,
মা - বাবারাই করে দেয়
তাদের জীবন বরবাদ ।
নিয়মে চলা , নিয়মে
বলা
নিয়মের কড়াকড়ি,
শিশুমন চায় যে তখন
নিয়ম থেকে হাঁফ ছাড়ি ।
মা - বাবা তো দেয় না শিক্ষা
ভালবাসতে সঠিক দীক্ষা ।
শিশু তো পায় না তার সময়
এখন ভেবেও আর কি কিছু হয় !
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
কবি পরিচিতি –
শিক্ষকতা ও সংসার সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে সাহিত্য চর্চার সময়ে টান পড়েছিল এক সময়ে। মনের সুপ্ত বাসনা মনেই লুকিয়ে ছিল । সময় পেলেই খাতা, কলম নিয়ে বসে যান লিখতে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অনুভূতিগুলো বেড়িয়ে আসে কবিতা হয়ে। কবিতাকে ভালবেসে ফেলেছেন।
.jpg)