আলোকে সজ্জা প্যান্ডেল ভরে, ঝলমল রঙিন
আলো,
শিউলি গন্ধে বাতাস ভাসে, উৎসবের
ডাক যেন ভালো।
মাইকেতে মাঝেমাঝে বাজে, চণ্ডী
মন্ত্র ভক্তি গান,
তারই ফাঁকে ভেসে আসে, কুমার
শানু, কিশোরের টান।
নস্টালজিক সুরে বাঁধা, মন ভাসে
স্মৃতির ঘরে,
শিশুর চোখে রঙিন চশমা, হাসি খেলে
উজ্জ্বল করে।
নতুন জামার খুশির ঝলক, চোখে
তাদের প্রদীপ জ্বলি,
খেলনা হাতে দৌড়ের হাওয়া, আনন্দে
ভরে রঙিন গলি।
মোগলাই, পরোটা, বিরিয়ানি, চপের
দোকান ভিড় জমায়,
ফাস্টফুডের গরম ধোঁয়ায়, ক্ষুধার
সুর প্রাণে বাজায়।
ভিড় ঠেলে কাপড়ের দোকান, শাড়ি, পাঞ্জাবি
ঝলমল,
পা ফেলিবার যায়গা নেই, হাসির
ভিড়ে ঢাকের ঢল।
হাতে খেলনা, দোকানদারের
ডাক ওঠে—"হরেক মাল দশ টাকায়!"
মুখে মিষ্টি হাসি বাচ্চার, মায়ের
আঁচল কামড়ায়।
প্যান্ডেলের পাশে ফুচকা-চাটে, ঝাল টক
মিষ্টি রসে,
ভিড় জমেছে, হাসির
ঢেউয়ে, রঙ মিশেছে উৎসবে।
যুগল হেঁটে হাতে হাত, চোখে
প্রেমের আলো ভাসে,
রঙিন বাতির আলোয় মুখে, শরতের গান
ঘোরে পাশে।
শিশুটি বাবার কোলে বসে, চোখে তার
বিস্ময়ের ছোঁয়া,
আলো দেখে অবাক মনে, স্বপ্ন
যেন মিশে মেলা।
ট্রাফিক সামলাতে দাঁড়িয়ে, পুলিশদাদা
ঘামে ভেজে,
তবু মুখে হাসি রেখে, শান্তি
আনে পথে সেজে।
ঢাকের তালে শঙ্খ বাজে, আনন্দ ঢেউ
উড়ে যায়,
মেলামেলা প্রাণের উৎসব, বাংলার
বুক ভরে চায়।
শারদ রাতে সুরের মেলা, আনন্দে
বাঁশি বাজে,
অতীত-বর্তমান মিলেমিশে, স্মৃতি রঙিন
সাজে।
আলোকে সজ্জা, পুজো
গন্ধে, ভরে ওঠে গ্রাম শহর,
বাংলার প্রাণে উৎসব বেজে, চিরকাল
হোক অমর।
কবি পরিচিতি –
সঞ্জয় সরকার থাকেন রায়গঞ্জ-এ। ছোট থেকেই লেখালেখির অভ্যাস, তিনি মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন ও আরো উচ্চ শিক্ষার মধ্যে আছেন। সাহিত্যকে ভালবাসেন তাই সময় পেলেই লিখতে বসে যান।