আজ এক
অজানা গর্বিত বাঙ্গালীর ইতিহাস সম্বন্ধে কিছু কথা লিখছি,তাঁর
নাম রাধানাথ শিকদার। তিনি কলিকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং হিন্দু কলেজে পড়াশোনা
করেন । তিনি ডিরোজিওর ছাত্র ও অনুরাগী ছিলেন । ইংরেজি, গ্রীক
ও ল্যাটিন ভাষা সাহিত্যে পারদর্শী ছিলেন তাছাড়া তিনি ব্রিটিশ ভারতে বিজ্ঞান
শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে
বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
রাধানাথ
শিকদার ছিলেন একজন গণিতবিধ এবং
জরিপকারী। তিনি ১৮৫২ সালে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা গণনা করার জন্য পরিচিত। তখন
মাউন্ট এভারেস্টকে ১৫ নম্বর শৃঙ্গ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই শৃঙ্গটা পরবর্তী
কালে “মাউন্ট এভারেস্ট” নামে পরিচিত হয়।
রাধানাথ
শিকদার গণনার মাধ্যমে এর উচ্চতা বিশ্বের সর্বোচ্চ বলে চিহ্নিত করেন। নানান
ঐতিহাসিক সূত্র থেকে জানা যায় যে তিনি এভারেস্টের শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয়ের পাশাপাশি
এর আবিষ্কারে মহত্বপূর্ণ যোগদান করেছিলেন। ১৮৫২ সালে তিনি যখন জরিপের অংশ হিসাবে
হিমালয়ের শৃঙ্গগুলির উচ্চতা পরিমাপ করেছিলেন,তখন তিনি
‘চূড়া-১৫’ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তা আবিষ্কার করেন। কিন্তু এই শৃঙ্গটি পরবর্তীতে
“মাউন্ট এভারেস্ট” নামে পরিচিত হয় যা জর্জ এভারেস্টের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয় ।
রাধানাথ
শিকদারের এই আবিষ্কারটি সে সময় খুব বেশী স্বীকৃতি পায়নি, কারণ
ব্রিটিশরা একজন ভারতীয়কে এই কৃতিত্বর জন্য স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করেছিলেন। তবে
আজ আধুনিক ভারতে বিজ্ঞান এবং গণিতে রাধানাথ শিকদারের আবিষ্কার একটি মহত্বপূর্ণ
অবদান বলে স্বীকৃত ।
লেখিকার পরিচিতি –
জন্ম বিহারের কিশানগঞ্জ-এ। প্রা্থমিক থেকে স্নাতকোত্তর কিষানগঞ্জেই। আঞ্চলিক বার্ষিক পত্রিকা,ই-ম্যাগাজিন তাৎক্ষনিক.কমে অনুগল্প, ছোট গল্প, প্রবন্ধ লেখালেখি করেন। ওনার প্রথম গ্রন্থ ‘নবরত্ন’(গল্পগুচ্ছ)। বই পড়া, ভ্রমণ ও আধ্যাত্মিকতায় রুচিশীল এবং কুসংস্কার বিরোধী ।