স্বাধীনতার সকাল
কালীপদ চক্রবর্তী
ভোরের আলো ফুঁটে ওঠে,
গঙ্গার জলে রঙ মেশে তেরঙ্গার,
পথের ধুলোয় ভিজে থাকে—
সেই অশ্রু,যে অশ্রু
ছিল ত্যাগের প্রমাণ।
বৃক্ষের পাতায় হাওয়ার সুরে,
শোনা যায় এক পুরনো গান,
"বন্দে
মাতরম"—
যেন প্রতিটি শ্বাসে লেখা এক
প্রতিজ্ঞা।
মাটির গন্ধে লুকিয়ে থাকে,
অগণিত নাম-না-জানা মানুষ,
যাদের বুকের রক্তে,
লাল হয়ে উঠেছিল এই পতাকা।
আজ শিশুদের চোখে শুধু আনন্দ,
তারা জানে না শৃঙ্খলের ওজন,
তাদের হাসি—
একটি জিতের পুরস্কার,
যা এসেছিল বহু প্রানের
বিনিময়ে।
স্বাধীনতার সকাল মানে—
মায়ের অশ্রুঝড়া
জল,
বাবার চোখের ভেজা
গর্ব,
আর প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে—
একটি নীরব ধ্বনি,
"আমরা
স্বাধীন…
আর এই স্বাধীনতা রক্ষা করব।"
---------------------
তেরঙ্গার ভোর
ভোরের আলো ফুঁড়ে আসে,
গঙ্গার জলে তেরঙ্গার ঢেউ,
পথের ধুলোয় ভিজে থাকে
ত্যাগের গল্প,বীরের
নীরব গৌরব।
বৃক্ষের পাতায় বাতাস বয়ে
আনে—
এক পুরনো সুর,
“বন্দে
মাতরম…”
যেন প্রতিটি হৃদস্পন্দনে
লেখা প্রতিজ্ঞা।
মাটির গন্ধে লুকিয়ে আছে
নাম-না-জানা কত প্রাণের
ইতিহাস,
যাদের রক্তে রাঙা হয়েছিল
আমাদের পতাকার রঙ।
আজ শিশুদের চোখে কেবল আনন্দ,
তারা বোঝে না শৃঙ্খলের ওজন,
তাদের হাসি যেন
অন্ধকার ভেদ করা ভোরের প্রথম
সূর্যরশ্মি।
স্বাধীনতার সকাল মানে—
মায়ের পড়া সাদা
শাড়ি,
বাবার চোখে ভেজা গর্ব,
আর প্রতিটি হৃদয়ে এক নীরব
শপথ—
"আমরা
স্বাধীন…
আর এই স্বাধীনতা রক্ষা করব।"
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি –
কালীপদ চক্রবর্ত্তী দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন।
দিল্লি,কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান, আজকাল পত্রিকা, নবকল্লোল,শুকতারা, শিলাদিত্য,সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী,পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ, কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ,তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান, কিশোর বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা ১০ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।
‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান, সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।
বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ' ও www.tatkhanik.com এর সম্পাদক এবং দিল্লিতে প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।