হাতে কলম চোখে চশমা চলল
কুঁড়ি শিক্ষা নিকেতনে, দুচোখে আকাশ আঁকবে
বলে।পাহাড়ি নদী, উচ্ছল, উদ্দাম, প্রাণবন্ত।
উৎসের সন্ধানে দিনরাত একাকার।
পাখায় পাখায় রঙের নেশা।
কোনো দিকে দৃষ্টি নেই।
অহরহ সিঁড়ির খোঁজ।
গোখরো লুকিয়ে ছিল কোথায় যেন।
হঠাৎ মারলো ছোবল।
নীল এখন মেয়ে।
শূন্য বসন্ত। বসন্ত উৎসবে পাতা ঝরার মৌসুম।
পাপড়ি পাপড়ি বিবর্ণ ।
হারিয়ে গেছে কোকিল নির্জন দ্বীপে।
মেয়েটি সর্বহারা এখন। মহাকাল।
শকুনের চোখ ফুটো করবে বলে আগুন হয়েছে।
বিষাক্ত গোখরোর শরীর জুড়ে যে ধ্বংস আঁকা ছিল পুড়ে ছারখার হবে এবার।
সব ছারখার হবে।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি -
কৈশোর কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার একটি গ্রামে। বৈবাহিক সূত্রে দিল্লিতে আসা । ছোটবেলা থেকেই লেখালিখি শুরু। স্কুলের ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হত।
এ পর্যন্ত ছয়টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লেখা প্রকাশিত হয়। প্রতিদিনই কিছু না কিছু লেখেন। লেখার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পান।