ধারাবাহিক – প্রতি সোম, বুধ এবং শুক্রবার
পর্ব – ৯
দুর থেকে শুনতে পাচ্ছি
কাড়া -নাকাড়া,শৃঙ্গা আর ব্যান্ড বিউগলের
আওয়াজ আর মুহুর্মুহু পুলিশের হুইসেল। মেলায় লাউডস্পিকারে ঘোষণা হলো নাগা
সন্ন্যাসীরা শাহী স্নান করতে আসবেন। ব্যাস ভিড়ের অভিমুখ ঘুরে গেলো ওই দিকেই। নাগা
সন্ন্যাসীদের স্নানের পরই স্নান পর্ব শুরু হয়। কিন্তু সঙ্গমের অন্যান্য বিভিন্ন
ঘাটে স্নানপর্ব ইতিমধ্যে শুরু গেছে ।
স্নানের সবসময় পতাকা বা
নিশান দেখে দাঁড়ানো যেমন উচিত। তাতে স্নান সেরে ঠিক সেই স্থানটি সহজেই খুঁজে নিতে
পারা যায়। জায়গায় জায়গায় তীর্থ পুরোহিতদের নানান রঙের পতাকা বা নিশান উড়ছে। এই
তীর্থ পুরহিতেদেরই পাণ্ডা বলা হয়। এই রকম পতাকা না চিনে রাখলে সঙ্গীদের খোঁজা খুব
অসম্ভব। অনেকেই স্নান সেরে উঠে তাই খুঁজেই পায় না যে তার সঙ্গীরা কোথায়
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। শীতে ভিজে কাপড়ে তাদের দৌড়োদৌড়ি আর চিৎকার শোনা যায় ...
আরে এ কৈলাস কহা গইলরে...বা ছেলের আর্ত চিৎকার… এ মাই। মা তার স্নান করে কোন
দিকে চলে গেলো।
***
দুদিন ছুটির পর অফিসে
গিয়ে বন্ধু সঞ্জয় পান্ডে কুম্ভ মেলায় আমাদের পরস্পরের হারিয়ে যাওয়ার কথাটি যেমন
সবাইকে সরস ভাবে বর্ণনা করে শোনালো তেমনই সে জানালো সে বাড়ি ফিরেই আবার সঙ্গমে
গিয়েছিল। কেনো ! কি ব্যাপার ! আসলে বন্ধুর বাবা ছিলেন বহুগুণাজীর আপ্ত সহায়ক। বহুগুণাজী মারা যাওয়ার পর
তাঁর এক পুত্র মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। পরে কোন কারণে তিনি বিচারপতি
পদ থেকে পদত্যাগ করে আবার সর্বোচ্চ আদালত ও এলাহাবাদ হাইকোর্টে পুনঃ প্র্যাকটিস
শুরু করেন। তিনি আমাদের দেশের সেই সময়ের একজন সেরা আইনজীবী ছিলেন। বিখ্যাত শিল্পপতি
হিন্দুজাদের উনি ছিলেন উকিল। প্রয়াগে হিন্দুজারা স্নান করতে এসেছিলেন নিজেদের
প্লেনে। তাদের সঙ্গম অঞ্চলে নিয়ে গিয়েছিলো আমার বন্ধুটি। ওই সব ভিভিআইপিদের জন্য
পুণ্যস্নান করার ব্যবস্থা অবশ্য আলাদা। সেই কাহিনী আবার অন্য পর্বে লিখবো।
***
আজ ২০২৫ এর মহাকুম্ভের শেষ
প্রস্তুতি দেখবার জন্য গতকাল কুম্ভ অঞ্চলে প্রায় তিন চার ঘণ্টা ঘুরে এলাম। যুদ্ধস্তরে শেষ প্রস্তুতির
কাজ চলছে। এই মহা প্রস্তুতির কাজ না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না যে এই বিশাল আয়োজন
নিখুঁত ভাবে কি করে সম্ভব হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন সরকারি বিজ্ঞপ্তি
তথা গণমাধ্যমের খবর অনুসারে জানতে পারি প্রয়াগে আয়োজিত এই মহাকুম্ভ ২০২৫-এ বিশ্বের ৭৫টি দেশের ৪০
কোটির থেকে বেশি তীর্থযাত্রীসহ দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য অতিথি সহ বিপুল সংখ্যক
মানুষের আগমনের অনুমান করা হচ্ছে। এই মহাকুম্ভের থিম রাখা হয়েছে 'ভব্য -দিব্য ও নব্য মহাকুম্ভ 'এই প্রথম সর্বাধিক ২৫ টি সেক্টর নিয়ে
মহাকুম্ভের এই বিশাল আয়োজন করা হচ্ছে। শুনলাম ত্রিবেণী সঙ্গম তটে কুম্ভনগরীকে’
অস্থায়ী একটি নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়েছে।
ত্রিবেণী সঙ্গমের চতুর্দিকে সুদৃশ্য তোরণ ও
সরকারেরে দ্বারা লাগানো হোর্ডিংয়ে বলা হচ্ছে “মহাকুম্ভ ২০২৫ আস্থা ও বিশ্বাসে এই
মহাকুম্ভে দেখা যাবে আস্থা -আধ্যাত্মিকতার
ভাবগম্ভির বর্ণাঢ্য ও বর্ণময় চিত্র। কুম্ভমেলায় প্রতিদিন ভারতীয় সংস্কৃতি ও
কৃষ্টি তথা পৌরাণিক ও প্রাচীন ইতিহাসের গৌরব গাথাকে তুলে ধরা হবে।
এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস বিভাগের ইন্টার্ন ছাত্র-ছাত্রীরা সারা সঙ্গম অঞ্চলে নানান কুম্ভ দৃশ্য আঁকছে দেখলাম।
পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মথুরা -আগ্রা অঞ্চল থেকে পুলিশের হাবিলদার ভূপেন্দ্র
সিং চৌধুরী এসেছেন মেলায় ডিউটি করতে। পরিচয় হল। খুব কঠিন কাজের দায়িত্ব। কিন্তু
কর্তব্যরত অবস্থায় চলমান মহাকুম্ভের প্রস্তুতি দেখতে আসার ভিড়কে 'রাধে রাধে 'বলতে বলতেই সুন্দর কেটে যাচ্ছে বলে,জানালেন তিনি।
বিশ্বের সনাতনী ধর্ম এবং অননুভবনীয়
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহমান ধারা ( Intangible cultural heritage of ancient &
mordern world ) ।
কুম্ভ মেলা সাধুদের মেলা,মহাস্নানের মেলা অমৃত প্রাপ্তির মেলা। এই
অমৃত কুম্ভ কী ! এর উৎসই বা কী! সব কিছু জানবার জন্য এবার ডুব দিই বইয়ের সাগরে…
***
পূর্ণ: কুম্ভোধি কাল আহহিতস্তং
বৈ পশ্যমো বহুধা নু সন্তঃ ।
স ইমা বিশ্বা ভুবনানি প্রত্যঙকালং তমাহুঃ
পরমে ব্যোমন্ ।। - ( অথর্ববেদ, ১৯, ৫৩,৩ )
“সংসারের কারণে ভূত পরমেশ্বর কাল হতে কুম্ভের
সমান সম্পূর্ণ ব্যাপ্ত হয়ে আছে।
সাধু পুরুষ সেই কাল সময়কে
ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখার ক্রমে তাকে ব্যোম সমান নির্লেপ বলেন। “এখানে অমৃত চক্র,কাল এবং কুম্ভের সমরূপতাকে বলা হয়েছে।
‘পুণ্যতীর্থ নত্বা তীর্থ সর্ব তীর্থ প্রধান’ :
নদী ভারতবর্ষের আত্মা। নদীতে পবিত্র অবগাহন তীর্থ ঐতিহ্যের পরিচয়। ভারতবর্ষের এই
ঐতিহ্যের মধ্যেই সমাহিত – তীর্থ-ভ্রমণ। প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গম তটে কুম্ভপর্ব,মাঘমাস, কল্পবাস সব একাকার। বড়ই পবিত্র এবং আধ্যাত্মিক রূপে
গুরুত্ব এই প্রয়াগধামের।
“মৃত্যোর্মা অমৃতং গময় ”
অর্থাৎ মৃত্যু থেকে অমৃতের পথে। এই অনিত্য মৃত্যুময় জগৎ থেকে আমাকে শাশ্বত
আনন্দের জগতে নিয়ে চলো ..এই বীজমন্ত্রই প্রস্ফুটিত হলো অমৃতের সন্ধানে । অমৃতের
আলোকময় উপলব্ধি -জীবগণের অদম্য জিজীবিষার। চিন্তন এবং কর্মের ধরাতলে ‘ নমঃ
শিবসংকল্পমস্তু ’ এর মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান রূপী সমুদ্র মন্থনে উদ্ভূত অমৃত কুম্ভ
সমস্ত জীবকুলকে অমরত্বে পরিপূর্ণ করতে সক্ষম। প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমের বালুতটে
আয়োজিত কুম্ভপর্ব সাধুসন্তসহ মহান মনীষীগণ এবং বিদ্বজ্জনেদের পারস্পরিক
চিন্তন-মন্থনেরও সঙ্গম স্থল।
কুম্ভ জ্ঞান মন্থনের চরম
উপলব্ধি। ‘অমৃতকুম্ভ’ জ্ঞানের পরিপূর্ণতার প্রতীক। অভ্যুদয় এবং শাশ্বত কল্যাণের
সম্পুর্ণ সম্ভাবনাকে আলোকিত করে তোলার পর্ব এই কুম্ভ।
কুম্ভ কথার শাব্দিক অর্থ -
বিবৃত বৃক্ষ, মৃত্তিকা নির্মিত জলের
পাত্র। ঘট, কলস, মেষাদি রাশির একাদশ রাশি; পরিমাণ পাত্র বিশেষ জনৈক রাক্ষস, কুম্ভকর্ণের পুত্র, বেশ্যাপতি, মিবারের জনৈক রাজা ইত্যাদি। ( সরল বাংলা অভিধান )
কুম্ভের প্রাচীনতা - কুম্ভ
শব্দের উল্লেখ আছে ঋগ্বেদ ( ১০, ৮৯,
৭), শুক্ল যজুর্বেদ ( ১৯, ৮৭ ),সামবেদ (৬,৩), অথর্ববেদ ( ১৯, ৫৩, ৩) এ ছাড়াও বায়ু পুরাণ, বৃহন্নারদীয় পুরাণ আদি গ্রন্থেও উল্লেখ আছে। এই পর্বের
প্রারম্ভেই অথর্ববেদের একটি সুন্দর শ্লোকের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। অথর্ববেদেরই
আরও একটি শ্লোকে বলা হয়েছে –
“ঊর্ধ্ব ভরন্তমুদকং কুম্ভেনেবোদ হার্য়ম্।
পশ্যন্তি সর্বেচক্ষুষা ন সর্বে মনসা
বিদুঃ”
- অথর্ববেদ ( ১০, ৮, ১৪)
ব্যাখ্যা : কুম্ভের
মাধ্যমে জলের উপর ভাসমানকে সবাই চাক্ষুষ করেন। কিন্তু তারা মনের মাধ্যমে জানতে
পারেন না। এখানে রূপকের মাধ্যমে অনন্ত ব্রহ্মের উল্লেখ করা হয়েছে। “ অনন্তং বিততং
পুরুত্রানন্তমন্তবচ্চা সমন্তে”। বৈদিক যুগে পূর্ণ ঘট বা ভদ্রকলশকে সর্বোত্তম
মঙ্গলের প্রতীক বলা হয়েছে। সেই সময়ে প্রতিটি গৃহে ‘পূর্ণকুম্ভ নারী ’ শুভ
মঙ্গলময় প্রতীক চিহ্ন প্রতিষ্ঠা করা হতো। যে কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে মঙ্গল
ঘটধারিণী স্ত্রীকে অথর্ববেদে ' পূর্ণকুম্ভ নারী ' রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতীক রূপে কুম্ভ ব্রক্ষ্মান্ডের
প্রতীক। “ কাল: শেরত্যস্মিন কলশঃ আকাশঃ অর্থাৎ নক্ষত্রের কিরণ রশ্মি যার উপর
প্রসারিত হয়ে শয়ন করে,এই রকম আকাশকেই ‘ কুম্ভ ‘
বলা হয়। এই আকাশ থেকেই কিরণরশ্মি ত্রিবেণীর জলে অমৃতের জন্ম দেয়। ইহাই ‘অমৃত
কুম্ভ’, ‘প্রাণবর্ধক শক্তি।’
পুষ্পপত্রে আবৃত পূর্ণঘট হলো সুখ,সমৃদ্ধি,শান্তিময় জীবনের পূর্ণতার
প্রতীক। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় 'কুম্ভ ' অর্থাৎ কলসের মুখ গহ্বরে
বিষ্ণু, কণ্ঠে রুদ্র, মূলে ব্রহ্মা, মধ্যে মাতৃগণ,কুক্ষিতে সাগর,
সপ্তদ্বীপ, বসুন্ধরা, চতুর্বেদের উপস্থিতির কল্পনা করা হয়েছে। কুম্ভ আবার একাদশ
রাশির নাম। শনি হলো এই রাশির স্বামী। চন্দ্র সূর্যের সাথে একই রাশিতে স্থিত হলে
পরে তাকে কুম্ভ বা ঘট বলা হয়। ভাস্করাচার্যের ‘ সিদ্ধান্ত শিরোমণি ’ গ্রন্থে
চন্দ্র অমৃতপিণ্ড রূপে বর্ণিত হয়েছে। যখন চন্দ্র রূপী অমৃতপিণ্ড সূর্যের সম্মুখ
দিশায় অর্থাৎ সূর্যের সপ্তম আসনে স্থিত হয় ঠিক সেই মুহূর্তে উহা প্রকাশ পুঞ্জ
হয়ে কিরণরশ্মি রূপে সুশোভিত হয়। কিন্তু যখন চন্দ্র সূর্যের সাথে স্থিত হয় তখন
সেই মুহূর্তে সে প্রকাশ রহিত কালো রঙের ঘট মাত্র। অমৃতপিণ্ড এই চন্দ্র ঘট রূপের
স্থিতিই বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে প্রভাবিত হলে পরে কুম্ভ পর্বের মূলাধারে পরিণত হয়।
তাই বলা হয়েছে ...
“সূর্যেন্দুগুরুসংযোগস্তদ্রায়ৈ য়ত্র বৎসরে।
সুধাকুম্ভপ্লবে ভূমৌ কুম্ভো অতিনান্যথা ।”
অর্থাৎ রাশি বিশেষে সূর্য,চন্দ্র,বৃহস্পতি স্থিত হলে এই অমৃতকুম্ভ রূপী চন্দ্র পৃথিবীর উপরে প্রয়াগ, উজ্জৈন,হরিদ্বার তথা নাসিক -এই চারটি স্থলে শুভ প্রভাব রূপী অমৃত বর্ষণ হয়। বৈদিক
যুগে কুম্ভ ছিল আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। পৌরাণিক কালে সমুদ্র মন্থনে উৎপন্ন অমৃত'-র সাথে কুম্ভের সম্পর্ক তৈরি হলো। রামায়ণ,মহাভারত,পুরাণ ইত্যাদি গ্রন্থে সমুদ্র মন্থনে উৎপন্ন অমৃতকুম্ভ কথা ভিন্ন-ভিন্ন রূপে
বর্ণনা করা হয়েছে। কালক্রমে বহু কিংবদন্তি কথা কুম্ভপর্বের সাথে জুড়ে যায়। যদিও
কোনো ধর্মগ্রন্থতেই কুম্ভ পর্ব আয়োজনের প্রমাণ সেই রকম নেই।
ক্রমশ ………
১০ম পর্ব পড়ুন আগামী সোমবার
লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
লেখক পরিচিতি –
জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গ। প্রাথমিক
শিক্ষার পর বাবার চাকুরীস্থল এলাহাবাদে চলে আসা। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক -এর পর এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যা লয় থেকে বাণিজ্য স্নাতকোত্তর এবং
আইনে স্নাতক (Mcom.
LLB )। লেখালিখি প্রবাসেই।
লেখা প্রকাশিত হয়েছে
বিভিন্ন পত্র - পত্রিকা,
স্যুভেনিয়ার, লিটিল ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে। নিখিল ভারত বঙ্গ
সাহিত্য সম্মেলন এলাহাবাদ শাখা থেকে প্রকাশিত বার্ষিক ঐতিহ্যপূর্ণ সাহিত্য পত্রিকা' পদক্ষেপ '-এর বর্তমান সম্পাদক।
লেখকের প্রথম গবেষণা মূলক
গ্রন্থ ‘ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও সেই সময় কাল’ প্রকাশিত হয় কোলকাতা বই মেলায় ২০২২
সালে। লেখকের দ্বিতীয় গ্রন্থ বিশ্ব হিন্দী সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি হরিবংশ রায়
বচ্চনের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘ মধুশালা ’-র বাংলায় আত্তিকরণ ও অনুবাদ। এই বইটি এ যাবৎ
বিশ্ব বাংলা সাহিত্যে প্রথম সম্পূর্ণ অনুবাদ। এই কালজয়ী বাংলা কাব্যগ্রন্থটি
প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালে ঐতিহ্যবাহী কোলকাতা প্রেস ক্লাবে। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রেস
ক্লাব সভাপতি শ্রী স্নেহাশিস সুর-সহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকগণ।
গবেষণা মূলক প্রবন্ধে
লেখকের বিশেষ রুচি এবং সেই নিয়েই তিনি বর্তমানে কাজ করে চলেছেন।