Advt

Advt

prof.-c.n.r.rao-indian-famous-scientist-feature-probondho-by-kalipada-chakraborty-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-কালীপদ-চক্রবর্ত্তী

prof.-c.n.r.rao-indian-famous-scientist-feature-probondho-by-kalipada-chakraborty-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-কালীপদ-চক্রবর্ত্তী

 

প্রফেসর সি.এন. আর. রাও ভারতীয় বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ।

প্রফেসর সি.এন.আর. রাও একজন বিশ্ববিখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী যিনি মাটির অবস্থা এবং কাঠামোগত রসায়নে বিশেষজ্ঞ।

তিনি সুপারকন্ডাক্টিভিটিতে গবেষণা করেছিলেন এবং তার সর্বশেষ গবেষণাটি বিস্ময়কর উপাদান গ্রাফিন এবং কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণের (wondermaterial graphene and artificial photosynthesis) উপর।

প্রফেসর রাও ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান। তার বাবা স্কুল পরিদর্শক ছিলেন, কিন্তু শুনলে অনেকেই অবাক হবে যে তিনি কখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Elementary school) পড়তে যাননি। ছোটবেলায় তিনি তাঁর মায়ের কাছেই পড়াশোনা করতেন। তার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁদের ছেলে যেন ইংরেজি এবং তার মাতৃভাষা, কন্নড় ভাষাতে  পারদর্শী পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে।  

রসায়নের প্রতি রাও-এর অনুরাগ তাঁর উচ্চ বিদ্যালয়ের বছরগুলিতে শুরু হয়েছিল এবং তিনি তাঁর উচ্চতর পড়াশোনার জন্য রসায়নকে বেছে নিয়েছিলেন, এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পাওয়ার জন্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিনি পিএইচডি করার জন্য বৃত্তির সুযোগ পান চারটি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে; ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (Massachusetts Institute of Technology), পেন স্টেট (Penn State), কলম্বিয়া (Columbia) এবং পারডিউ (Purdue)তিনি পারডুতে গিয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ১৯৫৮ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়েসে তিনি সেখান থেকে পি এইচ ডি লাভ করেন।

সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো ৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করেছেন। তাঁর লেখা ৫৪টি বই এবং ১,৭৭৪টি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বেঙ্গালুরুতে জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বহু বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান (Chairman of the science advisory council to the Prime Minister of India) ছিলেন। এছাড়াও তিনি থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ফেলো।

ভারতীয় এই মহান বৈজ্ঞানিকের প্রাপ্ত কিছু পুরস্কার ও সম্মান নিচে দেওয়া হলো -

 - মার্লো মেডেল (Marlow Medal)

- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার।

(ShantiSwarup Bhatnagar Prize for Science and Technology)

- হিউজ মেডেল। (Hughes Medal)

- ভারত বিজ্ঞান পুরস্কার (India Science Award)

- ড্যান ডেভিড প্রাইজ (Dan David Prize)

- রয়েল মেডেল (Royal Medal)

- ভন হিপেল পুরস্কার (Von Hippel Award)

- ENI পুরস্কার (ENI Award)

- পদ্মশ্রী (Padma Shri)

- পদ্মবিভূষণ ( Padma Vibhushan)

২০১৩ সালের ১৬ই নভেম্বর ভারত সরকার তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন-পুরস্কার প্রদান করেন। তিনি সি ভি রমন এবং এ পি জে আবদুল কালাম-এর পরে তৃতীয় ব্যক্তি যিনি এই পুরস্কার পান।

লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

লেখক পরিচিতি –

কালীপদ চক্রবর্ত্তী  দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন। 

দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, শিলাদিত্য, সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ,  কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ, তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান , কিশোর বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা ৬ টি এবং প্রকাশের পথে ৪টি বই।

‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান, সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন।  ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।

বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত ‘কলমের সাত রঙ’  এবং www.tatkhanik.com পত্রিকার সাথে যুক্ত।