ধারাবাহিক – প্রতি শনিবার
২৪তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
২৫তম পর্ব শুরু ……
নিশিবক
(Black-crowned night heron)
বক আর বলাকা নিয়ে
কত কবির কত কবিতা আমাদের একান্ত সম্পদ হয়ে রয়েছে।
প্রকৃতির মাঝে কত রকমের পাখি বাস করে। তাদের আকার-আকৃতি,রং,স্বভাব সবই
আলাদা আলাদা। একেক পাখির একেক সুর একেক স্বর। গৃহস্থের আঙিনায় অবাধ আনাগোনা ঘরোয়া
কাক,শালিক,ছাতারে বুলবুল পাখিদের।
বাকিরা আকাশের পাখি আকাশে আর জলের পাখি জলেই ঘোরাফেরা করে।
শেষ বিকেলে পড়ন্ত সূর্যের আলো ধীরে ধীরে কমে এলেই পাখিরা
ঘরে ফিরতে শুরু করে। তবে সারি সারি বক যখন পশ্চিম থেকে পূবে ফিরে চলে,সে দৃশ্য দেখার মতো! এক একটা সারিতে কখনও
কখনও ৫০-৬০টা বকও যায়। খেয়াল করে দেখেছি একই গতিতে একই পথ
ধরে সবাই সবাইকে অনুসরণ করে চলতে থাকে। আকাশের এপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে বক-পাখি
আলপনা এঁকে দিয়ে চলে যায়। বক-এর আসা-যাওয়ার পথ লক্ষ্য করলে সহজেই দিক নির্ণয় (পূর্ব-পশ্চিম)
করা যাবে। ভোরের বেলায় দু-দশটা এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে উড়ে গেলেও ঘরে ফেরার সময়
ওরা দল বেঁধে ফিরে চলে। বকের সেই দলে দলে ফিরে চলার মধ্যে কোথাও যেন একটা অদৃশ্য
শৃঙ্খলা থাকে।
বক’-এর বেশিরভাগ প্রজাতি দিবাচর হলেও কিছু প্রজাতির বক আছে যারা নিশাচর। রাতের
সঙ্গে এদের নিবিড় সম্পর্ক। এরা রাতের বেলায় শিকার ধরতে ভালবাসে। সন্ধেবেলা থেকেই বিল,ঝিল,পুকুর বা
নদীর ধারে বা গাছে বসে থাকে। জল থেকেও শিকার ধরে আবার পাড়ের থেকেও যা পায় তাই ধরে
খায়। গোবক-কোঁচবক-রা আমার বাড়ির বাগানে ঘুরে বেড়ায়। আবার
ছাদেও এসে বসে! কিন্তু নিশিবক আমার বাড়ি আসে না! ওরা রোজ আমার বাড়ির চারপাশের
গাছগুলোতে আসে আর শুকনো কাঠ ভেঙে নিয়ে যায়। সে দৃশ্যও খুব সুন্দর।
আমি জানি লেখাটা
পড়তে শুরু করার পরে সকলে এই কথাটাই বলবে যে…. “বক-এর কথা’র থেকে বকবকটা একটু বেশি হয়েছে”!
হ্যাঁ,সেটা আমি জানি! কিন্তু কি করবো,সবসময় যেমন দেখি
তেমনই তো বলি! সেজন্যে যদি একটু বেশি কথা বলতে হয় তাতে আমার কোনও দোষ নেই। এই যেমন
ধরা যাক,আমার বাড়ির চারপাশের গাছগুলোতে নিশিবকেরা বাস করে। সন্ধে রাত থেকেই ওয়াক….ওয়াক…...ওয়াক করে ডাকতে থাকে। আর ভোর থেকে সারাক্ষণ গাছের সরু
শুকনো ডাল ভেঙে নিয়ে যেতেই থাকে। ওরা কোথা থেকে আসে আর কোথায় বা যায় তাই নিয়ে বেশ
কৌতুহল ছিল আমার।
প্রথম যেদিন নিশিবক দেখেছিলাম…… সেদিন সকালে ঘরের কাজ করতে করতে কানে এলো কুট কুট,কট কট করে কিছু একটা শব্দ হচ্ছে! শব্দটা
শোনার এবং বোঝার চেষ্টায় কান পেতে রইলাম। শব্দ থেমে গেল,আবার
হলো,আবার থেমে যেতেই কৌতূহলী হয়ে উঠলাম। আমাদের এখানে সকাল
থেকে সারা দুপুর অনেক গ্রাম্য মহিলারা আসেন বিশাল লম্বা লম্বা আঁকসি নিয়ে কাঠ
ভাঙতে। কিন্তু সে কাঠ ভাঙার শব্দ আমার খুব চেনা। এটা তার থেকে একটু আলাদা রকমের।
মনে হলো খুব ধারে কাছে থেকেই শব্দটা শুনতে পাচ্ছি কিন্তু তা অনেকটা উঁচু-র দিক থেকে ভেসে আসছে। সেই থেকেই শুরু হলো আমার কৌতূহল নিবারণের
প্রচেষ্টা।
আমার বাড়ির
ভেতরটা পূবমুখো। উঠোন-বারান্দা থেকে ভোরের সূর্য আবছা হয়ে আসা মায়ের কপালের বাসি
সিঁদুরের টিপের মতো দেখতে লাগে। ধীরে ধীরে আবছা রঙ পূর্ণতা পেয়ে সোনার থালার মতো উজ্জ্বল,ঝলমলে
কিরণ ছড়াতে শুরু করে। এ আমার রোজের সকাল। সেইরকম এক সকালে শব্দ শুনে খুঁজতে খুঁজতে
দেখতে পেলাম বকের মতো দেখতে টিকিধারী একটা পাখি অনবরত কুট কুট করে কাঠ ভেঙে নিয়ে
যাচ্ছে আবার ফিরে আসছে। তারপর খেয়াল করলাম একটা দুটো নয়,তিন-চারটে
মিলে কখনও নিম গাছ আবার কখনও অশ্বত্থগাছ থেকে সরু ডাল বা লকরি ঠোঁটে করে ভেঙে নিয়ে
যাচ্ছে। আর দেরি করিনি ক্যামেরা বার করে আনতে। তবে লেন্স জুম করলেও ছবি আসছিল
কাকের মতো। আমার ছবির পাখির কথা পাখি-বান্ধবদের বলে,তাদেরকে
পাখির ছবি দেখিয়ে জানতে পারলাম ওর নাম নিশিবক।
কাঠ সংগ্রহে ব্যস্ত নিশিবক
প্রকৃতির বুকে প্রতিটি প্রাণের জন্যে খাদ্য ও বাসস্থানের
ব্যবস্থা করা আছে। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। প্রয়োজন অনুযায়ী জীবজগৎ বা
প্রাণীজগৎ সেই সকল বস্তু ব্যবহার্য হিসাবে গ্রহণ করে। একথা বলার যুক্তি হলো,গাছের শুকনো সরু ডাল পানকৌড়ি ও বকের কাছে
খুবই প্রয়োজনীয় বস্তু। নিম এবং অশ্বত্থ গাছের অসংখ্য সরু ডাল রোজই শুকিয়ে যায় আর
পাখিরা এসে ঠোঁট দিয়ে ভেঙে নিয়ে চলে যায়।
অশ্বত্থ গাছে বছরে দু-বার পাতা ঝরে এবং কচি পাতা গজিয়ে
ওঠে। সময়টা সম্ভবতঃ আগষ্ট মাস,অশ্বত্থ গাছের পাতা ঝরে গিয়েছে। লিকলিকে সরু কাঠি কাঠি পাতাহীন ডালগুলো
সোজা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎই শেষ দুপুরে নজর পড়লো অশ্বত্থ গাছে নিশিবক এসে
ডাল ভাঙছে। আমি সব ফেলে রেখে ক্যামেরা এনে ছবি তুলতে শুরু করলাম। অপরাহ্নের আলো
এসে যখন নিশিবকের গায়ের উপর ছড়িয়ে পড়লো..... তখন তার দু’খানা রক্তবর্ণ চোখ আমার
নজরে এলো। পিঠের উপরের নীলচে কালো রঙ বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে,পেটের
দিকে ধূসর সাদায় হলদে আভা মিশেছে। আর টিকিখানা সোজা হয়ে গিয়েছে।
নাম তার নিশিবক। অন্য সাধারণ বক প্রজাতির পাখিদের সঙ্গে এদের স্বভাব
এবং খাদ্য গ্রহণে কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও শারীরিক গড়নে কিছু পার্থক্য আছে। নিশিবক-এর চেহারায় রয়েছে বেশ একটা রাজকীয় ভাব। তবে,নাম
নিশিবক হলেও এরা সারাদিনই এগাছে-ওগাছে কাঠ ভেঙে ভেঙে ঘুরে বেড়ায়। প্রায় রোজই ওরা
বাসা বদল করে আর বাসা তৈরি করে।
এদের চোখ দুটো থাকে মাথার দুপাশে,তাই এক চোখ দিয়ে যা দেখে অন্য চোখ দিয়ে
তার সবটা দেখতে পায় না। এই ধরনের দৃষ্টিকে একচক্ষু দৃষ্টি (Monocular Vision) বলে। তবে একচক্ষু দৃষ্টির সঙ্গে এদের দ্বিচক্ষু (Binocular)
দৃষ্টিও আছে,ফলে এরা ভালো ভাবে সবকিছু দেখতে
পায় এবং শিকার ধরতে সুবিধা হয়।
কিছুদিন আগে,ক’দিন ধরেই খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো। বৃষ্টি হলেই আমাদের বাড়ির সামনের বড়ো
মাঠের কিছু কিছু জায়গায় জল জমে যায়। জায়গাটা প্রাকৃতিক ভাবে সারাবছরই বড়ো বড়ো ঘাস
আর আগাছার জঙ্গলে পূর্ণ হয়েই থাকে। সেখানে বক শামুকখোল নিশিবক সকলেই এসে হাজির হয়।
বৃষ্টি থামার পর বিকেলে বেরিয়েছিলাম পায়চারি করতে। জলার মধ্যে দেখি একটা শামুকখোল
আর একটা নিশিবকের মধ্যে কথোপকথন চলছে। ওদের চলা ফেরা আর তাকানোর ভঙ্গিতে আমি আমার
মতো করে বুঝেছিলাম ওদের বাক্য বিনিময়….
শামুক খোল এবং নিশিবক (Asian openbill and Black-crowned night heron) শামুক খোল গম্ভীর গলায় বললো আরেঃ ভাই কি হলো,তুই আমার এত কাছে আসছিস কেন? কি চাই তোর?
নিশিবক : দাদা গো
কিছু চাইনি, শুধু
ভাবছি!
শামুকখোল: কি
ভাবছিস বল ভাই!
নিশিবক : ভাবছি,যদি আমার ঠ্যাংটা একটু বেশি লম্বা হতো আর
শরীরটা একটু বড়ো হতো তাহলে জলেতে তোমার মতো আমারও একটা সুন্দর ছায়া-ছবি দেখতে
পেতাম।
শামুক খোল হেসে উঠলো : হাঃ হাঃ হাঃ, চাইলেই কি সবাই সব পায় রে! তুই তো আমার
হাঁটুর সমানও হতে পারবি না কোনওদিন। মেলা বাজে না বকে এখন খাবার খুঁজতে দে তো,আমায় আবার তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।
পাখি পরিচিতি: বাংলা নাম- নিশিবক। এছাড়াও আঞ্চলিক ভাষায়
এদের বাজকা,রাতচরা
ওয়াক ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। নিশিবক আর্ডেইডি (Ardeidae)
গোত্রের অন্তর্ভুক্ত,মাঝারি আকৃতির সুলভ
প্রজাতির বক।
ইংরেজি নামঃ
ব্লাক ক্রাউন্ড নাইট হেরন,(Black-crowned night heron)
বৈজ্ঞানিক নামঃ Nycticorax nycticorax.
শামুকখোল ও নিশিবকের কথোপকথন
নিশিবক লাল চোখ ও কালচে পিঠের নিশাচর মাছ শিকারি পাখি।
এদের চোখের আলাদা একটা সৌন্দর্য্য আছে। গাঢ় লালচোখের ভেতর কালো চোখের তারা বেশ
উজ্জ্বল। এরা লম্বায় কানিবকের মতোই। তবে চেহারায় একটু মোটাসোঁটা। গলা,বুক,পেট ধূসর সাদা
ও পিঠ গাঢ় সুরমা রংয়ের। অনেকসময় ওদের গায়ে সূর্যের আলো পড়লে পিঠের কালো রং
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং দূর থেকে সেই কালো রঙ গাঢ় নীল দেখায়। মাথার উপর লম্বা এবং সরু
দুই পালকবিশিষ্ট ঝুঁটি থাকে। ঝুঁটিটা পেছনে পিঠ অবধি নামিয়ে রাখে। যে কোনও কারণে
ওরা উত্তেজিত হলেই মাঝে মধ্যে সেটা খাড়া করার চেষ্টা করে। পুরোপুরি খাড়া করতে
পারে না। নেতিয়ে পড়ে। খাল-বিল,পুকুর-জলা,নদী,হাওর-বাওর এবং লম্বা লম্বা আগাছাযুক্ত প্যারাবনে
এরা বিচরণ করে। রাতে অগভীর জলে দাঁড়িয়ে অথবা জলের উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে এরা মাছ,
জলজ পোকামাকড় শিকার করে খায়।
আমাদের দেশে প্রায় ২০টি প্রজাতির বক স্থায়ীভাবে বাস করে।
তাদের মধ্যে শুধু নিশিবকই রাতের আঁধারে শিকারে বের হয়। ওদের শিকারের তালিকায়
রয়েছে মাছ,ব্যাঙ, জলজ পোকামাকড়
ইত্যাদি। দিনের বেলায় কিছু খায় না এরা। খাদ্য গ্রহণের সময় একা একা বিচরণ করলেও
দিনের বেলায় গাছের উঁচু ডালে দলবল নিয়ে বসে থাকে বা ঘুমিয়ে কাটায় অথবা গাছের
সরু ডাল ভেঙে ভেঙে নিয়ে যায়। দলের কাউকে না পেলে ডোবা-নালার গুল্মলতা অথবা
কচুরিপানার ভেতর চুপটি মেরে বসে থাকে। রাতের আঁধারটা ওদের জন্য নিরাপদ। কারণ দিনের
চেয়ে রাতে চোখে ভালো দেখে।
নিশিবকের প্রজনন কাল এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস। প্রজনন
মরশুমে এদের গায়ের রঙ বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। পা-দু’খানার রঙ বেশিরকম গোলাপী হয়ে ওঠে।
আর ঘন ঘন টিকিটা নাড়াতে থাকে। এই সময় এরা দল বেঁধে গাছের উঁচু ডালে বাসা বাঁধে।
৩-৪টে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে সময় নেয় ২১দিন। বাচ্চা পরিচর্যা করে স্ত্রী-পুরুষ
মিলেই। ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলো সারাক্ষণ গাছের ওপর থেকে ডাকতে থাকে। বাচ্চাদের
ঘাড়ে ছোট ছোট খাড়া খাড়া পালক গজিয়ে উঠলে তাদের উড়তে শেখা শুরু হয়। গাছের ডালের
ফাঁক দিয়ে গোল গোল চোখ নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে বাচ্চাগুলো। এইসময় খুব মিষ্টি
দেখতে লাগে ওদের।
নিশিবকের বাচ্চা
তবে খুব আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সঙ্গে
নিশিবকের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। কিছুদিন আগেও গ্রামগঞ্জের
ডোবা-পুকুর কিংবা খানাখন্দে অহরহ নিশিবকের সাক্ষাৎ পাওয়া যেত। সন্ধ্যার সামান্য
পরেই এরা ‘ওয়াক… ওয়াক…’ আওয়াজ করে কচুরিপানার ভেতরে ছোটাছুটি করত। খানিকটা ডাকার
পর কিছু সময় নীরব থেকে পুনরায় ডাকাডাকি শুরু হতো। এখন আর গ্রামগঞ্জে সে ডাক শোনা
যায় না। আমার বাগানের গাছেও ওদের আসা-যাওয়া বেশ খানিক কমেছে। খাবার এবং
বাসস্থানের অভাবে মূলত এরা এ দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে। দেশের মানুষ পাখিবান্ধব হলে
এবং শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হলে এদের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঠেকানো যেতে পারে
নিশিবকদের হারিয়ে যাওয়া।
গো-বক,কোর্চেবক,নিশিবক’রা আমার বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করে
তাই আমি ওদের কিছুটা চিনি কিন্তু আরও অনেক বক আছে যাদের ছবি আমি বিভিন্ন সময়ে
তুলেছি কিন্তু সেইভাবে পরিচয় হয়নি। যেমন বেগুনি বক (Purple heron),বড়ো বগা (Eastern great egret).
এছাড়াও বক প্রজাতির বেশ কিছু জলচর পাখি আছে যারা শীতকালে আমাদের
দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। বংশবিস্তার করে আবার ফিরে চলে যায়।
ক্রমশ ……
২৬তম পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার ।
লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
বিঃদ্রঃ – ছবি এবং ভি ডি ও লেখিকার নিজের তোলা ।
লেখিকার জীবনের সঙ্গে গল্প অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে আছে। যা দেখেন, যা শোনেন, যা শোনেন, যা কিছু স্মৃতির পাতায় জড়িয়ে আছে মনের সাথে,তাই নিয়ে লিখতেই বেশি পছন্দ করেন।
লেখা শুরু স্কুল-ম্যাগাজিন, কলেজ -ম্যাগাজিন দিয়ে। বর্তমানে কিছু লেখা প্রকাশিত হচ্ছে কয়েকটি মাসিক-ত্রৈমাসিক পত্রিকায়। বর্তমানে বার্ড’স ফটোগ্রাফী এবং “পাখি-প্রকৃতি” নিয়ে লেখা শুরু করেছেন।