Advt

Advt

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

ধারাবাহিকপ্রতি শনিবার


লেখিকার অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

২২তম পর্ব শুরু ………………

 হরিয়াল পাখি (Treron)

 

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

হরিয়াল, বকুল গাছের ভেতর থেকে
টুকি করছে আমার সঙ্গে

 সম্ভবতঃ সময়টা ছিল জানুয়ারি মাস শীতকালের এই সময়টায় আমরা কত্তা-গিন্নি রোজ দুপুরবেলা বাড়ির আশেপাশে একটু পায়চারি করতে বেরিয়ে পড়ি মিঠে রোদে বেশ ভালোই লাগে হাঁটতে সঙ্গে থাকে ক্যামেরাটা এই সময় চারপাশে বিভিন্ন পাখির দেখাও মেলেরাস্তার ধারের কাঁটা ঝোপে একটা ব্রাউন শ্রাইক দেখে কটা ছবি তুলে নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম

 হঠাৎই বকুল গাছটার দিকে তাকিয়ে দেখি,কে যেন একটা সরে গেল! টু....উ..কি! ও কাকিমা,এই তো আমি এখানে.ভালো করে খুঁজে দেখো! জানি,তুমি আমাকে খুঁজে পাবে না!আর পাবেই বা কি করে,আমি তো কেমন পাতার আড়ালে লুকিয়ে বসে আছি!

 বকুল গাছের দিকে ভালো করে তাকিয়ে প্রথমে কিছু দেখতে পাইনি তারপর দেখি একঝাঁক হরিয়াল এসে বসে খুব আনন্দে ফল খাচ্ছে তার মধ্যে একজন যেন মনে হলো আমার সঙ্গে লুকোচুরি খেলা করছে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থেকে!অনেক্ষণ খুঁজতে খুঁজতে আমি যেই দেখতে পেলাম তাকে,মনে হলো দুষ্টুমি করে এই কথাগুলোই সে বলছে

 আমার বাগানের অশ্বত্থ গাছে বছরে দুবার নতুন পাতা গজায়, আর তখন নতুন করে ফলও হয়। এই সময় দুপুরের পর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিয়াল পাখি আসতে শুরু করে ওই গাছটাতেঅনেক্ষণ ধরে বসে থাকে। গাছের কচি ফল খায়। তবে শীতকালে ওদের বেশি দেখা যায় ফল খেতে আসতে। এই সময় ওদের গায়ের রঙটা একটু হালকা থাকে। ডিসেম্বর মাস  থেকে ওরা একটু একটু করে রও রঙিন এবং আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে   

 বাইরে বাগানের বট-অশ্বত্থ গাছগুলো ডালপালা মেলে দিয়ে রোজই একটু একটু করে দখল করে চলেছে আমার উঠোন থেকে দেখতে পাওয়া আকাশটাকে একদিন দুপুরবেলা উঠোনের দড়িতে মেলে দেওয়া শুকনো জামা-কাপড় তুলছিলাম বেলা পড়ে আসছেসেদিন সকাল থেকে একটা বেনেবউ ক্রমাগত ডেকে চলেছে শুনছিকিন্তু একবারও তাকে ধরতে পারিনি! আচমকা বাগানের অশ্বত্থ গাছ থেকে আবার বেনেবউয়ের ডাকটা শুনে গাছের উপরের দিকে তাকাতেই দেখি সেই পাখিটা উড়ে গেল কিন্তু চোখ ফেরাতে পারলাম না! দেখি একটা স্যাকরা বসন্তবৌরি একদম উঁচু ডালটার ডগায় বসে আছে, আর বেশ কিছু হরিয়াল এসে এ-ডাল ও-ডাল করছে ওমা!তারমধ্যেই দেখি একটা হরিয়াল গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে ঝুলে ফল খাচ্ছে

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

গাছে ঝুলে ফল খাচ্ছে ।

 ওকে দেখতে পেয়েই আমি সব ফেলে ছুট্টে ঘরে এসে ক্যামেরা বার করে নিয়ে গেলাম ছবি তুলতে
গিয়ে দেখি ওর আহ্লাদ আর ধরে না কতরকম ভাবে আমাকে পোজ দিচ্ছে আর আমি টপাটপ ছবি তুলছি দল দল হরিয়াল আসছে যাচ্ছে,কিন্তু আমার তখন মন পড়ে রয়েছে শুধু ওরই দিকে! হঠাৎ দেখি সে নেই!ভালো করে খুঁজছি এদিক ওদিক হাতে ক্যামেরাটাকেও ধরে রাখতে পারছিলাম না মনে মনে ভাবলাম থাক,ওরা তো রোজই আসে এমন ছবি আরও অনেক পাবো ব্যাটা খুব দুষ্টু হয়েছে! তখনই ও যেন দূর থেকে আমার মন পড়তে পেরে বলে উঠলো.

 তুমি আমায় খুঁজে বেড়াচ্ছো সারা গাছটাতে! এই দেখো, আমি এখানে। অশ্বত্থ গাছের কচি ফল আর কচি পাতার মুকুলগুলো খাচ্ছি বসে! শুধু তোমার ছবির পোজ দিলেই হবে! আমার যে খুব ক্ষিদে পেয়েছে দেরি করলে সব ফল শেষ হয়ে যাবে আহাঃ, খুব ভালো খেতে গো ফলগুলো! কি মিষ্টি,কি রসালো আর টুকটুকে লাল এমন ফল কি ছাড়া যায় বলো? একটু বেশি করে পেট ভরে ফল খেয়ে নিই,তারপর না হয় তুমি আবার ছবি তুলো আমরা এখন অনেক্ষণ এই গাছেই থাকবো

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

হরিয়ালটা বলছে আগে খেয়ে নে, পরে কথা বলিস।

 ওদের মধ্যে থেকে কেউ একজন মুখ বাড়িয়ে তাকে বলে উঠলো তাড়াতাড়ি খেয়ে নে নইলে শেষ হয়ে যাবে,তখন আর পাবি না ভাগ্যিস মানুষেরা এই বট-অশ্বত্থ ফলগুলো খায় না,তাই আমরা মনের আনন্দে পেট ভরে খেতে পাই ওরা যদি একবার এর স্বাদ পেতো তাহলে আমাদের না খেয়ে উপোষ দিতে হতো এমনিতেই গাছ কেটে কেটে আমাদের খাদ্য-বাসস্থান সবই কেড়ে নিয়েছে ওরা!পাখির কথাটা আমার গায়ে লাগলেও মনে মনে স্বীকার করতে হলো ঠিকই বলেছে তাই চুপ করেই রইলাম আর চোখ ভরে দেখতে থাকলাম অপরূপ সুন্দর পাখিগুলোকে

 আসলে ওরা তো এত কথা বলতে পারে না!আমিই ওদের চালচলন বুঝে নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে বলি এসব যেন কেউ বিশ্বাস করো না এসব নিছকই কথার কথা এবার হরিয়ালদের কথা শুরু করি

 পাখি পরিচিতিবাংলা নাম -হরিয়াল/ হলদে পা হরিয়াল বা হলদে পা সবুজ পায়রা

ইংরেজি নাম (Yellow-footed green pigeon)

বৈজ্ঞানিক নাম :Treron phoenicoptera.

হরিয়াল (Green pigeon) মূলত কবুতর প্রজাতির এক সুদর্শন বিরল শ্রেণির পাখি। পৃথিবীর সব হরিয়াল ট্রেরন (Treron) গণের অন্তর্গত। সারাবিশ্বে প্রায় ২২-২৩ রকম প্রজাতির হরিয়াল ছে। আমাদের আশেপাশে হলুদ পা হরিয়াল(Yellow footed green Pigeon) প্ৰচুর দেখা যায় আর পুরুঠোঁট হরিয়াল (Thick billed green pigeon) শীতের দিকে আশেপাশে কচিৎ কখনও দেখতে পাওয়া যায়তবে পুরু ঠোঁট হরিয়ালের (Thick Billed pigeon) ছবি তোলার সৌভাগ্য আমার হয়নিযেদিন তাদের দেখেছিলাম সঙ্গে সেদিন ক্যামেরা ছিল না!

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

স্ত্রী হরিয়াল

 
গ্রাম বা শহরের ফলের বাগানে ঝাঁক বেঁধে হরিয়ালদের উড়তে দেখা যায় এরা বিভিন্ন ফল জাতীয় খাদ্য ও বাদাম জাতীয় তৈলবীজ খায় বিশেষ করে বট অশ্বত্থ,যজ্ঞডুমুর,পাকুড় গাছের পাকা ফল খেতে এরা বেশি পছন্দ করে হরিয়াল পাখি বৃক্ষচারি এবং এরা সবসময় দল বেঁধে বাস করে

 হরিয়াল মহারাষ্ট্রের জাতীয় পাখি মারাঠি ভাষায় এদের হরিয়াল বলে এদের গায়ের রঙ সবুজাভ হলুদ এবং জলপাই হলুদে মেশানো তাই এদের হরিয়াল বলেঘাড়ের কাছে খুব হালকা গোলাপি ছোপ রয়েছে গলা,পাখা লেজের পালক উজ্জ্বল সোনালি রঙের। পা হলুদ এবং পায়ের আঙুলগুলো লাল রঙের পায়ের তলায় মাংসল গদি থাকে, যা গাছের শাখা-প্রশাখায় চলাফেরা করার উপযোগী। হালকা ঘিয়ে রঙের পুরু ঠোঁটচোখ খয়েরি মেশানো লাল রঙের তাতে কালো চোখের তারা পালকের রং সবুজাভ বলেই সহজে পাতার মধ্যে মিশে থাকতে পারে হরিয়ালের শীষ খুব মিষ্টি সবুজ পায়রা নাম হলেও পায়রার ডাকের সঙ্গে বা স্বভাবের সঙ্গে এদের তেমন সাদৃশ্য চোখে পড়ে না এরা পায়রার থেকে সাইজেও একটু লম্বা ্ত্রীপাখি,পুরুষ পাখির থেকে আকারে একটু বড়োপাখির চেহারার গড়ন আলাদা। পুরুষ পাখির কপাল ধূসরাভ। মাথা সবুজাভ-হলুদ। ঘাড়ে হালকা ধূসরাভ পট্টি।

 শীতকাল মূলতঃ এদের প্রজনন কাল হলেও মার্চ থেকে আগষ্ট হলো প্রকৃষ্ট সময়।। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে হরিয়ালের জলপাই-সবুজ রোজ একটু করে পাল্টাতে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সময়ে এদের রঙটা উজ্জ্বল হলুলাভ হয়ে ওঠে মাথার ধূসর রঙটা নীলচে ধূসর হয় বলতে গেলে ওদের শরীরে যতগুলো রঙ আছে সেগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এইসময়পাখনার দু-ধারে ছোট্ট ছোট্ট পালক গজিয়ে ওঠে স্ত্রী হরিয়ালগুলো তো অনেক বেশি সুন্দরী হয়ে ওঠে তার চোখের কর্নিয়ার লাল রঙটাও বদলে যায়!

 এরা দল বেঁধে বসবাস করলেও এইসময় যে যার মতো সঙ্গী/সঙ্গিনী নির্বাচন করে তারা ঘর বাঁধে বড়ো গাছের প্রশাখাযুক্ত পত্র-পল্লবে ঘেরা খাঁজ মতো জায়গায় এরা বাসা তৈরি করে কাঠি-কুটি,শুকনো ডালপালা হলো বাসার উপকরণ এগুলো দিয়ে ঝোপালো ঝুড়ির মতো বাসা তৈরি করেতার ভেতরে শুকনো ঘাস বিছানো থাকে বাসা তৈরি হলে স্ত্রী পাখি দুটো ডিম পাড়েডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ষোলো থেকে আঠেরো দিন সময় লাগেএরা অনেক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এক একটা হরিয়ালের আয়ুষ্কাল প্রায় চব্বিশ থেকে ছাব্বিশ বছর

হরিয়ালের কথা লিখতে বসেই মনে পড়লো,একবার দেখেছিলাম হরিয়াল দম্পতিকে তাদের অমনভাবে বসে থাকতে থাকতে দেখে স্বভাব বশতঃ আমি ধারণা করে নিয়েছিলাম ওদের কথোপকথনটা

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

হরিয়াল দম্পতি অশ্বত্থ গাছে বসে আছে ।

 কত্তা: কি গো শুনছো! মুখ ঘুরিয়ে থাকলে হবে? গাছ ভর্তি অশ্বত্থ ফল, যত খুশি খাও! গাছের মাথার উপর আমরা বসে আছি, কেউ দেখতেও পাবে না। একবার আমার দিকে ঘুরে দেখো দেখো না!েট ভরে ফল খেয়ে আমি কেমন মটুরাম হয়েছি! হা হা হা.....

গিন্নি না ঘুরেই বললো:না না,আমি খাবো না  আমার মনটা এখন বাচ্চাগুলোর দিকে পড়ে আছে তাদের তো ধারে কাছে দেখতেও পাচ্ছি না! খুব চিন্তা হচ্ছে!

 হরিয়াল বৃক্ষচারিএরা পায়রা গোত্রের হলেও পায়রার সঙ্গে কোনও কিছুতেই ওদের কোনও মিল নেই পায়রা সাধারণত গৃহস্থের বাড়ীতে চরে বেড়ায়, দানা শস্য খুঁটে খায়,বকম বকম ডাকে, এমনকি জল তেষ্টা পেলে মাটিতে নেমে এসে জল খায় হরিয়াল এসব কিছুই করে নানীল আকাশের বুকে ডানাদুটো মেলে দিলেই তার দিন কেটে য়ায় আর রাতে ফিরে আসে তার ছোট্ট বাসায়আকাশে আর গাছের মগডালে তার জীবন কেটে যায়

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী

হরিয়ালটা মনের আনন্দে উড়ে চলেছে ।

 
আমি দিনের বেলা পাখির কর্মকান্ড দেখি,তাদের ছবি তুলি আর রাতে বসে পাখির বই নিয়ে পড়াশুনা করিতারপর পাখিদের কথা লিখি হরিয়াল নিয়ে সেদিন রাতে পড়তে বসে বারবার ঘুম এসে যাচ্ছিলো বইয়ের একটা লাইনে এসে কেবলই ঘুমিয়ে পড়ছি,চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছেলাইনটা ছিল মাটির পৃথিবীটাকে ছুঁয়ে দেখার দরকার হয়না হরিয়ালদের

 মাটি ছোঁয়ার দরকার না হয় হলোই না! কিন্তু আমার মনে যে কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছিলো সেটা হলো,সব প্রাণীই তো জল খায়তবে হরিয়াল জল আকা.. গা. কখন যেন হারিয়ে গিয়েছি!

 তারপরেই দেখি একটা হরিয়াল এসে বসলো আমার উঠোনের পাঁচিলে! আমি অবাক হয়ে বললাম,আরেঃ হরি!এই যে শুনলাম তোরা নাকি মাটিতে নামিস না!জল পান করিস না, তোদের নিয়ে বইয়েতে আরও কত কিছু পড়ছিলাম! যত্তসব বাজে কথা বইয়ে লেখা আছে

হরিয়াল বললো: কাকিমা, আমি শুধু তোমার জন্যেই এসেছি এখানে! সত্যিই আমরা মাটিতে নামি না গোকিন্তু জল না খেলে বাঁচবো কি করে! আমাদেরও জল তেষ্টা অবশ্যই পায়!তবে গাছের পাতায় আর ফলের গায়ে যে শিশির জমে থাকে তাতেই আমাদের তেষ্টা মিটে যায় তাছাড়া,যে ফলগুলো আমরা খাই সেগুলো তো খুবই রসালোতাই ওসব দিয়েই হয়ে যায় আলাদা করে জল আর লাগে না!

আমি বললাম,দেখ না আমিও তো সেটাই ভাবছি

হরিয়ালটা বললো,জানি তো তুমি আমাদের নিয়ে খুবই ভাবো জল খাই কি খাইনা সেই ভাবনা নিয়ে ঘুমোতে গেলে রাতটা তোমার জেগেই কাটবে! তাইতো,আমি কষ্ট করেই তোমার এখানে এলাম আসল ব্যাপারটা বলতে এখন আমি চললাম গো.জানো তো, নীচে নেমে এলে উপরে উঠতে আমাদের খুব শ্বাসকষ্ট হয়  

আমি ডাকলাম আরে শোন শোন. বাগানের দরজা খুলে হরিয়ালের পিছনে ছুটতে গিয়ে বাধা পেলাম পায়ে..

pakhi-prakriti-part-22-hariyal-bird-treron-jana-ajana-feature-knowledge-by-shrabani-chatterjee-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-e-magazine-পাখি-প্রকৃতি-শ্রাবণী-চ্যাটার্জী


 আসলে,শুয়ে শুয়ে লিখছিলাম তো! পায়ে ধাক্কা লাগতেই বুঝলাম আমি এতক্ষণ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
সারা সন্ধে ধরেই হরিয়ালের ছবি আর লেখা নিয়ে বসেছিলাম আর তাই স্বপ্ন দেখেছি হরিয়ালের ভালোই হলো,হরিয়ালের মুখ থেকেই শুনে নিলাম ওদের জীবনের বাকিটুকু দেরি করিনি তখনই লিখতে বসে গিয়েছি রাত পার হলে যদি ভুলে যাই,তার থেকে লিখে রাখা ভালো

 হরিয়াল খুবই নিরীহ পাখি খুব শান্তিপ্রিয় এরা দলবেঁধে থাকে নিজেদের মধ্যে তো নয়ই,অন্য কোনও পাখির সঙ্গে কোনও ঝুট-ঝামেলা বা মারামারিতে এরা যায় না হরিয়ালের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু, তাই পাখি শিকারিরা সবসময় হরিয়াল খুঁজে বেড়ায়এছাড়া,প্রচুর পরিমানে বৃক্ষ জাতীয় গাছ কেটে ফেলার জন্যেও প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দুর্লভ এবং সুদর্শন এই পাখিটা

  

ক্রমশ ………

২৩তম পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার ।

 বিঃদ্রঃ – ছবি এবং ভি ডি ও লেখিকার নিজের তোলা । 


লেখিকার পরিচিতি –

লেখিকার জীবনের সঙ্গে গল্প অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। যা দেখেন, যা শোনেন, যা শোনেন, যা কিছু স্মৃতির পাতায় জড়িয়ে আছে মনের সাথে,তাই নিয়ে লিখতেই বেশি পছন্দ করেন

লেখা শুরু স্কুল-ম্যাগাজি, কলেজ -ম্যাগাজিন দিয়ে বর্তমানে কিছু লেখা প্রকাশিত হচ্ছে কয়েকটি মাসিক-ত্রৈমাসিক পত্রিকায় বর্তমানে বার্ড’স ফটোগ্রাফী এবং পাখি-প্রকৃতি” নিয়ে লেখা শুরু করেছেন