কে রে তুই , কোথেকে এসেছিস ? জিজ্ঞেস করলো সুরেন । চটপট জবাব দে নয়তো পুলিশের হাতে তুলে দেব তোকে ।
জবাব না দিয়ে লোকটা
হাঁ করে তাকিয়ে রইল , এমনকি ওর
মুখ থেকে যে লালা গড়িয়ে পড়ছিল তা মুছে নেবার কোনোচেষ্টা করল না ও । ‘
আরে এটা যে দেখছি
হাবা , কালা ’ , বিড়বিড় করলো সুরেন , তারপর দু পা এগিয়ে এল লোকটাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে । সুরেন যখন পরিষ্কার
বুঝতে পারল লোকটা সত্যিই হাবা ও
কালা তখন বললে , ‘ শোন হাবা , তুই যদি রাতটা এখানে কাটাতে চাস তো যা ওপাশে খড়ের গাদার
উপরে গিয়ে শুয়ে পড় । দেখি কাল তোর কী ব্যবস্থা করা যায় ।
ভবঘুরে মানুষটা
এভাবেই রাতের আশ্রয় পেল বাটাজোড় গায়ে আর সেই সঙ্গে পেল একটা নামও -হাবা ।
পরের দিন গাঁয়ের
মাতব্বররা পঞ্চায়েত বসালো বুড়োবটতলায় হাবার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য । অশীতিপর
বৃদ্ধ নীরেন পোদ্দার সন্দেহবাতিকগ্রস্থ মানুষ । গাঁয়ে নতুন কিছু এলে , তা ডিজেল পাম্পই হোক কিংবা প্রাইমারি স্কুলের নূতন
পাঠ্যসূচি , সে তার আপত্তি
জানাতে সরব হয়ে ওঠে । বেশ কয়েকবার কেশে গলা পরিষ্কার করে সে বললো ,‘এ ব্যাটা যে কোনোডাকাত দলের গুপ্তচর নয় তা কে বলতে পারে ? আজকাল অচেনা লোককে গাঁয়ে জায়গা দেওয়ার আগে তার কোষ্ঠী
ঠিকুজি ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার ।‘
পাঁচবার স্কুল
ফাইনাল ফেল করা ভেজাল তেলের কারবারি বটুক নন্দী বললে , তাছাড়া একটা হাবা,কালাকে গাঁয়ে রেখে আমাদের কী উপকারটা হবে শুনি , কোনো গণ্ডগোল বাঁধাবার আগেই ওকে বিদেয় করা উচিত ।
বটুক নন্দীকে
সায় জানিয়ে মাথা দোলালো বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী । তাদের মধ্যে একজন চেঁচিয়ে বললো
হাবাকে এক্ষুনি গ্রামের বাইরে বের করে দেওয়া উচিত । হাবাকে গ্রামের বাইরে বের করে
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবার আগে জন দুয়েক মাতব্বর সুরেনের মতামত জানতে চাইল । সুরেন বললো , “হাবা আমাদের গায়ে এসেছে বুধবার , শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশীর রাতে । এটা একটা শুভ যোগাযোগ । ওকে
রাখলে গায়ের মঙ্গল হবে । বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে গত দুবছরে । ”
‘হাবার আগমনের
শুভসংকেতটি শোনার পর আর কারো ওজর আপত্তিতেই কান তুললো না গাঁয়ের মাতব্বররা ।
দুই
সুরেনের
দাক্ষিণ্য অবশ্য সীমিত রইল তার গোয়ালে হাবাকে রাতে শোবার ব্যবস্থা করা । আর ওকে
একটি পুরনো তাপ্পিমারা শার্ট আর মুখ মোছার
জন্য একটি গামছা বিতরণের মধ্যে । হাবা অবশ্য তার লালা মোছার
জন্য গামছা ব্যবহার না করে হাতের তালুই ব্যবহার করে বেশির ভাগ সময়ে । ওর তিনটে
প্রয়োজনের দুটোর ব্যবস্থা করেছি আমি , 'দাবি করে সুরেন । আশ্রয় আর পোশাক । এবার ওর পেটটার
দায়িত্ব নিক আমাদের পুরো গাঁয়ের মানুষ ।
কিন্তু হাবার
জয়ঢাকের মতো ঢাউস পেটের দাবি মেটাতে গায়ের লোকেরা খুব একটা উৎসাহ দেখাল না ।
সকালের দিকে হাবাকে প্রায়ই দেখা যায় কোনোবাড়ির পেছনের উঠোনে , তার দুই বিশাল চোখের দৃষ্টি আটকে আছে রান্নাঘরের দরজায় ।
রান্নাঘর থেকে কোনো মেয়েছেলে ঘুঁটে সংগ্রহ করতে বা বাসন ধোয়া নোংরা জল ফেলতে বাইরে বেরোলে হাবা সোজা গিয়ে তার সামনে দাঁড়ায় খাবারের প্রত্যাশায় । বেশির ভাগ স্ত্রীলোক
হাবাকে হাতের ইশারায় রাস্তা দেখিয়ে দেয় , কখনো বা কোনো বয়স্কা , দয়াবতী মহিলা তাকে দিয়ে দেয় রাতের বেঁচে যাওয়া পান্তা ভাত বা দুখানা রুটি । এমন কি খাবার দেবার সময়ও ঐ মহিলা না
চেঁচিয়ে পারে না , এই হাবা
মুখ থেকে মাছিগুলোকে তো তাড়া । দেখলে কেমন গা ঘিনঘিন করে বাবা ।
তিন
শেষ পর্যন্ত
গ্রামের সব চাইতে বড় চাষি হারাণ তালুকদারের জমিতে নিয়োজিত ক্ষেত মজুররাই হয়ে
দাঁড়াল হাবার প্রতিপালক । বাটাজোড় গ্রামের বেশির ভাগ জমি হারাণের কব্জায় আর তার চাষের জন্য সারা বছর ধরে তাকে রাখতে হয় দু’ডজনের ওপর পুরুষ ও মেয়ে ক্ষেতমজুর । জমির আলের উপর বসে হাবা চুপচাপ দেখে
যায় জমিতে হাল দেওয়া আর তারপর ধানের বীজ ছড়াবার কাজ ।
দুপুরে যখন মজুররা একটা বড় নিমগাছের ছায়ায় বসে খায় , হাবাকে ওরা সবাই এক মুঠো করে ভাত দেয় । সুরেন মণ্ডলের মতো
ওরা অনেকেই বিশ্বাস করে হাবা তাদের জন্য সত্যিই সুসময় নিয়ে আসবে । দুবছর খরার পর
এবার হাবা নিয়ে আসবে বৃষ্টি আর ভাল ফসল । ওদের দুএকজন এমনকি চেষ্টা করে হাবাকে
দিয়ে একটু আধটু জমির কাজ করিয়ে নেবার। কিন্তু ওরা যখন দেখল হাবাকে দিয়ে এসব কাজ
সম্ভব নয় , তখন তারা ওকে
কাজে লাগালো অন্যভাবে । কোনোক্ষেত মজুর একটা পাঁচ টাকার নোট ওর হাতে গুজে দিয়ে
বিড়ি খাওয়ার ভঙ্গি করলে হাবা তৎক্ষণাৎ টাকাটা নিয়ে ছুটে যায় গাঁয়ের বাজারে আর
ফিরে আসে এক বাণ্ডিল বিড়ি হাতে নিয়ে ।
জ্যৈষ্ঠের শেষ
সপ্তাহেই দু’পশলা ভারী বৃষ্টি হলে
গাঁয়ের সবাই স্বীকার করতে বাধ্য হল হাবা সত্যিই এ গ্রামের পক্ষে শুভ । ধানের চারা
রোয়ার কাজে যখন মেয়ে মজুররা মাঠে । নামলো তখন হাবাকে ওরা দিল বাচ্চা সামলাবার
দায়িত্ব । ওরা হাবাকে শিখিয়ে দিল কীভাবে বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে হয় ঝুমঝুমি টুমটুমি বাজিয়ে বা নিমগাছের ডাল থেকে ঝোলানো দোলনায়
দুলিয়ে । এমনকি মেয়ে মজুররা অঙ্গ ভঙ্গির সাহায্যে হাবাকে শেখালো তাদের দু একটা
রঙ্গ রসিকতার পাল্টা জবাব দিতে । ওদের মধ্যে একজন হাত পা নেড়ে হাবাকে জিজ্ঞেস করে
, “ বলতো হাবা,ধান চাষ করে কারা ?’ হাবা চটপট আঙুল দিয়ে মেয়ে মজুরদের দেখিয়ে দেয় । “
আর ফসল তোলার পর
চালটা কোথায় যাবে বলতে দেখি ?
হাবা নিজের বিশাল
পেটটা চাপড়ে জানিয়ে দেয় ওটাই হবে চালের শেষ গন্তব্যস্থল। মেয়েরা হাসে,এ ওর গায়ে পড়ে আর হাবাকে দেয় ওদের খাবারের একটা ভালো অংশ
।
চার
বাটাজোড় গ্রামে
আষাঢ় শ্রাবণ জুড়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে শুভ আগন্তুক হিসেবে হাবার খ্যাতি আরো
ছড়িয়ে যায় । বটুক নন্দী অবশ্য গাঁয়ের সবাইকে মনে করিয়ে দিতে ভোলে যে তাদের এ
অঞ্চলে দু’বছর খরার পর তিন বছর ভালো
বৃষ্টি হওয়ার অনেক নজির আছে ।
মাঠে সবুজের সমারোহ
দেখে এমনকি হাবার লালাঝরা গোবেচারা মুখেও যেন হাসির ছোঁয়া লেগে যায়। চাষিদের
জন্য এটা হচ্ছে অপেক্ষা করার সময় । ধানের শিষ কতটা বাড়লো , কতটা পুরুষ্টু হল এটাই হল এখন তাদের মধ্যে আলোচনার বিষয় ।
এক সকালে হারাণ
তালুকদার এল তার জমি পরিদর্শন করতে । হাবাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে একজন ক্ষেত মজুরকে ও
জিজ্ঞেস করলো ,‘হাবা এখানে কী
করছে ? “
আজ্ঞে কর্তা ও
আমাদের কাজে একটু আধটু সাহায্য করে ,'বললো একজন ক্ষেতমজুর ।
একজন মেয়ে
ক্ষেতমজুর এগিয়ে এসে বললো ,‘কত্তা ধান পাকলে আমরা ওর হাতে টিন ধরিয়ে দেব পাখি তাড়াবার জন্য ।
‘নিজের মুখ থেকে
যে মাছিটা তাড়াতে পারে না ,সে তাড়াবে চিল শকুন ? হা - হা -
হা । অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো হারাণ । ওর উপর ভরসা করিস না তোরা । তারপর ধানের বাড়
বাড়ন্ত চেহারা দেখে খুশি মনে ফিরে গেল হারাণ তার পাকা মজবুত দোতলা বাড়িতে ।
পাঁচ
মাঠে কাঁচা সোনার রঙ ধরলে ধান পাহারা দেবার সময় চলে এল । দিনে
পাখিদের ঠোট থেকে আর রাতে ধানচোরদের কাস্তে থেকে ধান বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো
সবাই । পাখি তাড়াবার জন্য হাবার হাতে তুলে দেওয়া হলো একটা টিন আর একটা কাঠের টুকরো
। মাঠের উপর কোথাও পাখি নামছে দেখলেই হাবা মহা উৎসাহে
ক্ষেতের আল ধরে দৌড়োয় আর টিন বাজিয়ে পাখি তাড়ায় । হাবার কাজে খুশি হয়ে হারাণ
শেষ পর্যন্ত হাবার জন্য বরাদ্দ করে একবেলার ভরপেট খাওয়া । রাতে পাহারাদাররা
হাবাকে নিয়ে গিয়ে তোলে মাঠের মাঝখানে বাঁশ আর বাখারি দিয়ে তোলা তাদের টং এ ।
রাত জেগে ধান পাহারা দেওয়া কঠিন কাজ । ধেনোখেয়ে , ডুগডুগি বাজিয়ে দু চারখানা অশ্লীল গান গেয়েও সময় কাটে না
। তাই মাঝরাতের পরে বেশিরভাগ পাহারাদার ঝিমুতে আরম্ভ করে । হাবার চোখেও ঘুম আসে
কিন্তু তার সঙ্গীরা প্রতি ঘণ্টায় ওকে নিচে নামিয়ে দেয় মাঠের চারপাশে এক হাতে
লণ্ঠন আরেক হাতে শিঙা নিয়ে চক্কর লাগিয়ে আসার জন্য । চোর দেখলে ওর কাজ হবে শিঙা ফুঁকে টঙের লোকদের জানান
দেওয়া ।
একরাতে শেষ
পর্যন্ত ধান চোরের দল এসে মাঠে নামলো । ওদের কাঁধে চটের বস্তা , হাতে ঢাকা দেওয়া লণ্ঠন আর বড় আকারের কাঁচি ( কেননা কাস্তে দিয়ে ধান কাটতে সময় বেশি লাগে
আর মাঠে আওয়াজও হয় বেশি ) যা দিয়ে , শুধু ধানের শিষগুলো কেটে নিতে ওদের কোনো অসুবিধা হয় না ।
চোরের দল যখন মাঠে নেমে ধান কাটছিল তখন তাদের একজন আলের উপর হাবার প্রতীক্ষায় ছিল এক গাছি
শক্ত নারকেলের দড়ি আর একটি মাটির হাড়ি নিয়ে । আধঘণ্টা পরে লণ্ঠন আর শিঙা হাতে
হাবাকে আসতে দেখে চোরটা মাটির হাঁড়িটা মাটিতে রেখে তার থেকে একটা রসগোল্লা তুলে
হাবার দিকে এগিয়ে ধরে , ইশারা করে রসগোল্লা খাবার । প্রলোভন এড়াতে না পেরে হাবা লণ্ঠন আর শিঙা মাটিতে
নামিয়ে ছুটে যায় রসগোল্লার হাঁড়ির দিকে । গোটা দুয়েক রসগোল্লা মুখে পুরবার
পরেই চোরটা জাপটে ধরে হাবাকে তারপর মুখে একটা কাপড়ের পুঁটলি ঠুসে দিয়ে হাত পা
দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে । হাবার লণ্ঠনের বাতিটা নিবিয়ে দিয়ে সে মাঠে নেমে যায়
শস্যকর্তনের কাজে সহযোগীদের সাহায্য করতে।
ছয়
গাঁয়ের যেসব মাতব্বর এক
ঘণ্টা বাদানুবাদ করে হাবাকে স্থান দিয়েছিল বাটাজোড় গাঁয়ে , তারাই তিন মিনিটের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিল ওকে গ্রাম থেকে বের
করে দেবার । হারাণ পরিষ্কার জানিয়ে দিল গাঁয়ে বিশ্বাসঘাতকের কোনোস্থান নেই ।
হাবার সপক্ষে কেউ একটা কথা বললো না । নীরেন পোদ্দার আর বটুক নন্দী সবাইকে মনে
করিয়ে দিতে ভুললো না যে তারা দুজন হাবাকে গ্রামে স্থান দেবার ব্যাপারে আগেই সতর্ক
করে দিয়েছিল । সুরেন মণ্ডল মিটিং এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু মাতব্বররা
তাকে লোক দিয়ে ডেকে আনাল বুড়ো বটতলায় । তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হল হাবাকে গ্রাম
থেকে বহিষ্কার করার কেননা সেই একসময় হাবাকে গ্রামে স্থান দেবার জন্য সালিশি
করেছিল তিথি নক্ষত্রের দোহাই দিয়ে ।
পরের দিন খুব ভোরে
সুরেন হাবার চোখ বেঁধে দিল একটা নতুন গামছা দিয়ে যাতে ও পথ চিনে ফিরে না আসতে
পারে গায়ে । তারপর ওকে সুরেন চড়িয়ে দিল শিবু সরখেলের শহরে আলু - কপি - টমেটো
বয়ে নিয়ে যাওয়া টেম্পোর পেছনে ।
শহরে গিয়ে চোখের বাধন খুলে হাবাকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়ার বিশেষ কাজটির জন্য
ড্রাইভারের হাতে বিশটা টাকা গুঁজে দিল সুরেন । শহরে গিয়ে অন্যান্য কানা , খোঁড়া , ল্যাংড়া ভিখারিদের দলে মিশে গিয়ে হাবাও ভিক্ষে করে পেট চালাবে , ভাবলো সুরেন । হাবাকে বিদায় জানাবার জন্য গাঁয়ের কেউ এসে
দাঁড়ালো না কিন্তু গাঁয়ের বুড়ো পুরুত চক্কোত্তি মশাই । রাধা - গোবিন্দের মন্দিরে
যাবার পথে দূর থেকে হাবাকে দেখতে পেয়ে পুরনোঅভ্যাস মতো হাতের ঘটি থেকে জল ছিটিয়ে
,যাত্রামঙ্গল মন্ত্র পড়তে শুরু করে দিলেন
।
লেখক পরিচিতি -
জন্ম এবং শিক্ষা কলকাতায়; কর্মজীবন দিল্লিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন
মন্ত্রালয়ে। গল্প লেখার শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায়
সাহিত্য চর্চা করে আসছেন গত পঞ্চাশ বছর ধরে। ইংরেজিতে দেশে এবং বিদেশে ওঁর কিছু
গল্প এবং তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি থেকেও ওঁর কয়েকটি গল্প প্রচারিত
হয়েছে। বাঙলায় একটি উপন্যাস এবং একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দেশ, আনন্দবাজার,
সাপ্তাহিক বর্তমান, নবকল্লোল, কালি ও কলম(বাংলাদেশ) এবং দিল্লি ও কলকাতার অনেক
সাহিত্য পত্রিকায় গল্প লেখেন উনি।