মা দিবসে সবাই নাকি ভালবাসে মা-কে,
আমার মা আজ অনেক দূরে, খুঁজে ফিরি তাঁকে।
১১ই মে, মা-দিবসে ব্যাথায় ভরে বুক,
সকাল সন্ধ্যা মনে পরে মায়ের হাসি মুখ।
জন্মদিয়ে যে মা মোদের জড়িয়ে রাখেন বুকে,
আমরা কেন তাঁকেই ভুলি, যখন থাকি সুখে।
বৃদ্ধা হলেই দেখাই তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমের পথ,
যুক্তিদিয়ে বলেও ফেলি মিলছে না আর মত।
কিন্তু কেন ভুলে যে যাই, ইতিহাসের কথা,
আমার ছেলেও দেখছে আমায়, দেবে একই ব্যাথা।
যাঁরা আমায় আলো দেখাল, জীবন করে পাত,
তাঁদের কেন দুঃখ দেব, ছাড়বো কেন সাথ।
আসুন আমরা সবাই মিলে শপথ করি আজ,
মা-বাবা-র কষ্ট হলে করবো না সেই কাজ।
ভবিষ্যতে মা-দিবসে দেখতে আমি চাই,
বৃদ্ধাশ্রমে ক্রন্দনরত একজনও মা নাই।
সবাই যেন সুখে থাকে, পুত্র, কণ্যা সনে,
তবেই দিনটি
সার্থক হবে, থাকে যেন মনে।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি –
কালীপদ চক্রবর্ত্তী দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি
পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন।
দিল্লি,কলকাতা এবং ভারতবর্ষের
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার
পত্রিকা,সাপ্তাহিক বর্তমান,দৈনিক বর্তমান,নবকল্লোল,শুকতারা, শিলাদিত্য,সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী,
চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী,পশ্চিমবঙ্গ
সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ, কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ,তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির
থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান, কিশোর
বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর
সংখ্যা ১০ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।
‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প
প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান,
সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।
বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ' ও www.tatkhanik.com এর সম্পাদক এবং দিল্লিতে
প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।